রুকইয়াহ এবং রেফারেন্স
“রুকইয়াহ” একটা চিকিৎসা পদ্ধতি, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে শরিয়তের নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন না হলেই এটা জায়েজ। এজন্য প্রতিটা প্রেসক্রিপশনের সাথে সাথে রেফারেন্স দিতে হবে এটার প্রয়োজন নাই।
রুকইয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মূলনীতি হল – কোন হারাম বা শিরকি বিষয় থাকা যাবে না। কোন অস্পষ্ট বিষয় থাকা যাবে না।
প্রসিদ্ধ হাদিসগুলোতে সাহাবাদের থেকে কোরআন এর যেসব সুরা এবং আয়াত দিয়ে রুকইয়ার কথা পাওয়া যায়, “একটাও” সাধারণত রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি, মানে রাসুলুল্লাহর থেকে পাওয়া যায় না। আবার রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে জ্বিনের রুগীদের জন্য রুকইয়াহ করেছেন, কোন সাহাবি সেভাবে করেছেন বলে পাইনি।
.
যেমন, সুরা ফাতিহা। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা দিয়ে রুকইয়াহ করেছেন, সাধারণত এরকম দেখা যায় না। অন্তত এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। অথচ সাহাবাদের মধ্যে এটা ছিল সবচেয়ে পপুলার। একেকজন সাহাবি সুরা ফাতিহা দিয়ে একেক স্টাইলে রুকইয়াহ করেছেন। অন্যান্য সুরা দিয়েও করেছেন। কখনও কখনও সাহাবারা রুকইয়াহ করার পর এসে রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেছেন, রাসুল্লাহ কোরআন দিয়ে রুকইয়ার কথা শুনে প্রতিবারই সমর্থন করেছেন, কখনও খুশি হয়েছে। অথচ উনাদের নিয়মগুলো তো রাসুলুল্লাহ শিখায়নি। কখনও তো এরকম বলেছেন – তুমি কিভাবে জানলে যে এটা রুকইয়াহ!! (সহিহ বুখারির হাদিস)
তাই আমাদের ক্ষেত্রেও শরিয়তের সীমারেখা অতিক্রম না করলেই রুকইয়াহ বৈধ। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত না যে, প্রতিদিনের ইবাদতগুলো মত এর নির্দেশনা হুবহু হাদিসে উল্লেখ থাকা লাগবে।
রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এব্যাপারে বলেছেন- “রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫৪৪)
শিরকের সম্ভাবনাও যেন না থাকে এজন্য উলামায়ে কিরাম সতর্কতা হিসেবে আরও কিছু শর্তারোপ করেন, যেমন- অস্পষ্ট কিছু না থাকা, দুর্বোধ্য কোন ভাষার না হওয়া, ইত্যাদি। কেউ কেউ “আরবি ব্যতীত অন্য ভাষায় না হওয়া” এই কথাও বলেছেন।
(রুকইয়াহ সহিহ হওয়ার এই শর্তগুলো ফাতহুল বারিতে ইবনে হাজার রহ. বর্ণনা করেছেন ইমাম নববী রহ. থেকে, এবং তিনি বলেছেন এব্যাপারে আলেমদের ইজমা রয়েছে)
উদাহরণস্বরূপঃ কেউ যদি বলে “৮৩বার ইখলাস, ফালাক, নাস পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে খাইলে যাদুর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।” তখন আপনি যদি নির্দিষ্টভাবে এই আমলের রেফারেন্স চাইতে যান, তাহলে ভুল করবেন। কারণ যেহেতু এটা রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এবং পরবর্তি সালাফের নির্ধারিত শর্ত লঙ্ঘন করছে না, সুতরাং এটা জায়েজ। এজন্য স্পেসিফিক রেফারেন্সের প্রয়োজন নাই।
Related
Related Posts
Leave a Reply Cancel reply
Categories
- Ahle Hadis
- Bangladesh
- Death
- Do in Danger
- Dowry
- Dua
- Fasting
- Gazwatul Hind
- Hadith
- Humble
- Husband & Wife
- Iman
- Introduction to Allah
- Islamic Days
- Islamic Economi
- Islamic Education
- Islamic FAQ
- Islamic Future
- Islamic History
- Islamic Lectures
- Islamic Life
- Islamic Rules
- islamic song
- Jihad
- Jinn
- Magic
- Marriage
- Motivation
- Muhammad SM
- Muslims
- Parenting
- Patriotism
- Pending
- Personal Development
- Pornography
- Quran
- Ruqyah
- Safety
- Salah
- Sin
- Tajweed
- Veil
- weed
- Zakat
Recent Posts
- ইসলামে ঝগড়া-বিবাদ নিষিদ্ধ ও সমঝোতায় মিলবে ক্ষমা January 27, 2021
- সঠিক ভাবে সালাম দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি October 25, 2020
- রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইসলামের দিক-নির্দেশনা August 14, 2020
- সূরা জিন ও সূরা জিনের ফযিলত! May 23, 2020
- ঈদের সালাত ঘরে আদায় করা যাবে কিনা ও ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম? May 18, 2020