Coronavirus-করোনাভাইরাস! কী করবেন, কী করবেন না ও করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার দোয়া।

 

জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাংসপেশি ও গাঁটে ব্যথাসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ দেখা দিলে আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এই বিশেষ ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে দেশে–বিদেশে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু নিজেকে আর নিজের পরিবার, স্বজনদের রক্ষা করতে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনার ভূমিকা কী হওয়া উচিত এ সময়?

কীভাবে আপনি পারবেন এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে কিছু উপদেশ দিচ্ছে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক।

১. বারবার হাত ধোয়া
নিয়মিত এবং ভালো করে বারবার হাত ধোবেন (অন্তত ২০ সেকেন্ড যাবৎ)। কেন? এ কথা প্রমাণিত যে সাবান–পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুলে এই ভাইরাসটি হাত থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

হাতে ময়লা বা নোংরা দেখা না গেলেও বারবার হাত ধুতে পারেন। তবে বিশেষ করে হাত ধোবেন অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার পর, হাঁচি–কাশি দেওয়ার পর, খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর।

২. দূরে থাকুন
এই সময় যেকোনো সর্দি–কাশি, জ্বর বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। কেন?

আর সব ফ্লুর মতোই এই রোগও কাশির ক্ষুদ্র ড্রপলেট বা কণার মাধ্যমে অন্যকে সংক্রমিত করে। তাই যিনি কাশছেন, তাঁর থেকে দূরে থাকাই ভালো। ইতিমধ্যে আক্রান্ত এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ পশুপাখি থেকে দূরে থাকুন।

৩. নাক–মুখ স্পর্শ নয়
হাত দিয়ে আমরা সারা দিন নানা কিছু স্পর্শ করি। সেই বস্তু থেকে ভাইরাস হাতে লেগে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। অপরিষ্কার হাত দিয়ে কখনো নাক–মুখ–চোখ স্পর্শ করবেন না।

৪. কাশির আদবকেতা মেনে চলুন
নিজে কাশির আদবকেতা বা রেসপিরেটরি হাইজিন মেনে চলুন, অন্যকেও উৎসাহিত করুন। কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় নাক, মুখ রুমাল বা টিস্যু, কনুই দিয়ে ঢাকুন। টিস্যুটি ঠিক জায়গায় ফেলুন।

৫. প্রয়োজনে ঘরে থাকুন
অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, বাইরে যাওয়া অত্যাবশ্যক হলে নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।

৬. খাবারের ক্ষেত্রে সাবধানতা
কাঁচা মাছ–মাংস আর রান্না করা খাবারের জন্য আলাদা চপিং বোর্ড, ছুরি ব্যবহার করুন। কাঁচা মাছ–মাংস ধরার পর ভালো করে সাবান–পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করা খাবার গ্রহণ করুন। অসুস্থ প্রাণী কোনোমতেই খাওয়া যাবে না।

৭. ভ্রমণে সতর্ক থাকুন
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন এবং অন্য দেশ থেকে প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করুন। অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

৮. অভ্যর্থনায় সতর্কতা
কারও সঙ্গে হাত মেলানো (হ্যান্ড শেক), কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন

৯. স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন
এ সময়ে কোনো কারণে অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর হলে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন। তিনি বিষয়টি গোচরে আনতে ও ভাইরাস ছড়ানো বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

অথবা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।

১০. সঠিক তথ্য জানুন
সঠিক তথ্য-উপাত্ত পেতে নিজেকে আপডেট রাখুন। গুজবে কান দেবেন না। আপনার স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকের কাছে তথ্য জানতে চান।

সহযোগী অধ্যাপক, গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার দোয়া।

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّءِ الأَسْقَامِ

অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাঊদ, তিরমিজী)

اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ وَالأَدْوَاءِ

অর্থঃ- হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট দুশ্চরিত্র, অসৎ কর্ম, কুপ্রবৃত্তি এবং কঠিন রোগসমূহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। (তিরমিজী)

৩৪৭৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্লেগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বললেন, তা একটি আযাব। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের প্রতি ইচ্ছা করেন তাদের উপর তা প্রেরণ করেন।

আর আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মুমিন বান্দাগণের উপর তা রহমত করে দিয়েছেন। কোন ব্যক্তি যখন প্লেগে আক্রান্ত জায়গায় সাওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ্ তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে তাহলে সে একজন শহীদের সমান সওয়াব পাবে। (৫৭৩৪, ৬৬১৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩২১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩২২৫)

 

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়বে! 

হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব ও হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে নিম্নোক্ত দোয়াটি বলবে; তার প্রতি ঐ বিপদ কখনো পৌঁছবে না; সে যেখানেই থাকুক না কেন। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

উচ্চারণ
‘আলহামদু লিল্লা-হিল্লাজি আ’-ফা-নি- মিম্মাবতালা-কা বিহি- ওয়া ফাদ্দালানি- আ’লা- কাছি-রিম মিম্মান খালাক্বা তাফদি-লা-।’
অর্থ
সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তোমাকে যাতে (যে বিপদে) পতিত করেছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেক জিনিস অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দান করেছেন।’

এ হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, কোনো ব্যক্তি বিপদগ্রস্ত ও সমস্যা জর্জরিত কোনো ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়াটি পড়লে কোনো মসিবতে পড়বে না।

সতর্কতা-
আলেমগণ বলেছেন, কোনো রোগাক্রান্ত বা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে এ দোয়া নিম্নস্বরে পড়তে হবে, যাতে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির মনে কোনো ব্যথা না পায়।

আবার যে ব্যক্তি প্রকাশ্য পাপাচারিতা ও পার্থিব বিষয়ে বেশি পেরেশান। তখন এ দোয়া উচ্চঃস্বরে পড়বে, যাতে সে নিজের পাপ ও পার্থিব বিষয়ের কারণে লজ্জিত হয় এবং তা থেকে ফিরে আসে।

উচ্চঃস্বরে এ দোয়া পড়লে যদি ফেতনার আশংকা থাকে তবে নিম্ন স্বরে পড়াই ভালো।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শারীরিক, পার্থিব এবং দ্বীনি সব ধরনের বিপদ ও সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে বিশ্বনবির শিখানো দোয়া পড়ে তা থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

1720 সালের প্লেগে বিশ্বজুড়ে মারা গিয়েছিলেন 20 কোটি মানুষ।

1820 সালে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় কলেরাতে মারা গিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ মানুষ।

1920 সালে স্প্য়ানিশ ফ্লুতে বিশ্বজুড়ে মারা গিয়েছিলেন 5 কোটি মানুষ।

2020 সাল! করোনা ভাইরাসের তাণ্ডব চলছে! আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, আমিন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

চায়নার সমস্যা যেমন জটিল, এর সমাধানও ও জটিল, সমাধান থেকে বিপদে পড়া আরো জটিল, বিপদ থেকে পরিত্রানের পথ তারচেয়েও জটিল!

অনুমান করা হয় ১৯৫৮ সালে মাত্র একদিনে চায়নায় আনুমানিক ৬০০ মিলিয়ন চড়ুইপাখিকে হত্যা করা হয়। চায়নার মাও জিডং এই পাখির বিরুদ্ধে নিজেই মৃত্যু পরোয়ানা পাঠ করেন। কারণ- এরা দেশের শস্য নষ্ট করে। এই পাখি হত্যার মিশন ছিলো বড়ই অদ্ভূত।

ঘোষণা মতো- একটি নির্দিষ্ট দিনে-সমস্ত চায়নীজরা ড্রাম, মেটালের প্লেট, বাটি, চামচ ইত্যাদি নিয়ে ঘরের বাইরে আসে এবং একটানা সবাই রাস্তায়, মাঠে, ক্ষেতে, যে যেখানে পারে সেখানে দাঁড়িয়ে এসব বাজাতে থাকে। পুরো দেশব্যাপি তৈরি হয় বিকট শব্দের উন্মাদনা।

ভয়ার্ত পাখিরা আকাশে উড়াউড়ি করতে থাকে। ভয়ে মাঠে নামতে পারেনা। ক্রমাগত আকাশে উড়তে উড়তে অসহায় পাখিগুলো একসময় ক্লান্ত হয়ে মাটিতে ছিটকে পড়ে। কেউ কেউ এদেরকে শিকার করে, কেউ কেউ ঝাকে ঝাকে এদেরকে ধরে ঘরে নিয়ে যায়। তারপর স্পেরো স্যুপ বানিয়ে খেয়ে ফেলে। পুরো একদিনেই চায়না চড়ুই পাখি মুক্ত হয়।

কিন্তু এরপরই নেমে আসে পুরো চায়নায় এনভায়োরোমেন্টাল ডিজাস্টার। প্রকৃতি তার বিরুদ্ধাচারণ পছন্দ করেনা। সে তার আপন নিয়মে এর প্রতিশোধ নেয়। দেখা গেলো- ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এই পাখিগুলো খুন করা হয়। চড়ুই শস্য খায় কথা ঠিক। কিন্তু তার চেয়ে বেশী খায় এরা ক্ষেতের পোকামাকড় ।

যা হবার তাই হলো। ক্ষেতে পোকামাকড় ভয়ানকভাবে বেড়ে গেলো। পুরো চায়না শস্যক্ষেতে ধবস নামলো। দেশব্যাপি কৃষিপন্যের ভয়াবহ রকমের ঘাটতি দেখা গেলো। পরের তিন বছর পুরো চায়নায় ফেমিন আঘাত করে। ইকোনোমিক মিসম্যানেজমেন্ট, এনভায়োরোমেন্টাল ডিজাস্টারস আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের কবলে পড়ে সমাজে নেমে আসে নিদারুন দুর্দশা। খাদ্যের জন্য হাহাকার।

মানুষ মানুষকে ধরে খাওয়া শুরু করে। মানুষ মানুষের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ায়। এমনকি পিতা তার সন্তানকে খায়। সন্তান খায় পিতাকে। মারা যায় প্রায় ৪৫ মিলিয়ন মানুষ। যদিও বা চায়না অফিশিয়ালি স্বীকার করে এই ডিজস্টারের ফলে ১৫ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিলো।

বিখ্যাত চায়নীজ জার্নালিস্ট ইয়াং জাইসেং এসব মর্মন্তুদ ঘটনার নিঁখুত বর্ণনা দিয়ে তাঁর বিখ্যাত বই লেখেন-“Tombstone”। বইটি প্রকাশের অল্পদিনের মধ্যে চায়না সরকার এটিকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ বইয়ের লিস্টে ফেলে দেয়। জার্নালিস্ট ইয়াং জাইসেং আত্মোগোপনে চলে যান।

চায়না এখনো এক জটিল করোনা ভাইরাস সমস্যার মুখোমুখি। এর থেকে পরিত্রানের পথ কি রকম জটিল হবে কে জানে??

হাতি কত বড় প্রাণী। এক পায়ে অসংখ্য পিঁপড়া পিষে মেরে ফেলতে পারে। আবার, একটা অতি ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া অথবা পিঁপড়া এই বিশাল হাতির মৃত্যুর কারণ হতে পারে।পারমানবিক বোমা থেকে মানুষ ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়না। মানুষ নিজেকে অসহায় মনে করেনা।

যতটুকু মানুষ অসহায় মনে করছে আজ একটা ভাইরাস নিয়ে। আজকে ভোরের খবর- করোনা ভাইরাস ইতালিতে বিস্তার করেছে, ইরানে হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে এবং সেখানে আটজন ইতোমধ্যে মারা গেছে, ক্রোজ শীপে ছড়িয়ে পড়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় স্কুল , কলেজ, মল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো এরকম মিনিমাম হাইজিন আর হেল্থ ফেসেলিটিসের ঘনবসতি জায়গায় যদি একবার ঢুকে পড়ে কী ভয়াবহ অবস্থার শিকার মানুষ হবে- ভাবতেই অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে।

ভাইরাস ধর্ম, বর্ণ, জাতি, কালো , ধলা, এশিয়ান, আফ্রিকান, ইউরোপিয়ান কিছুই চেনেনা। এই ভাইরাস বুঝিয়ে দিয়েছে- মানুষ তুমি যত বড় ক্ষমতা, ধন দৌলত , মারণাস্ত্রের অহংকার করোনা কেন? প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে গেলে তোমার শক্তি, বল , কৌশল, তোমার সব মারণাস্ত্র নিয়েও আসলে তুমি খুবই অসহায় আর অতি তুচ্ছ।

করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত বিবিসি এবং গার্ডিয়ানের আপডেট পড়ি কিন্তু আমি কনফিডেন্সের সাথে বলতে পারি, ইউসিএফ কলেজ অফ মেডিসিনের ডিরেক্টর আমাদের প্রিয় বড় ভাই ডাক্তার Rumi Ahmed ভাইয়ের মত প্রফেশনাল আপডেট কোথাও পাই নাই।

দুইটি অতীব চঞ্চল বালকের পিতা হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই আমি বেশি উদ্বিগ্ন। এবং এভেলিবিলিটি বায়াস মানে, যে তথ্য বেশি দেখা হয় তার উপরে বেশি নির্ভর করার কারনে হয়তো করোনা ভাইরাসের বিষয়ে বেশি স্ট্রেসডও ছিলাম।

কিন্তু রুমি ভাইয়ের লেখা গুলো আমাকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পুরো বিষয়টি বুঝতে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে, কন্টেক্সচুয়ালাইজ করতে এবং কনফিউশন গুলো দূর করতে সাহায্য করেছে।

সব চেয়ে বড় কনফিউশন ছিল, প্রথম দিন গুলোতে ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে বলা এবং তারপরে বলা ফেসমাস্কে কাজ হয় না বরং হাত ধুতে হবে বিষয়টি নিয়ে।

এত দিন ধরে আমরা লক্ষ লক্ষ ছবিতে দেখেছি, বিভিন্ন আপডেটে বলা হয়েছে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে ফেসমাস্ক পড়তে হবে কারন করোনা ভাইরাস শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। এবং অতিরিক্ত চাহিদার কারনে সাড়া বিশ্বেই ফেস মাস্কের সঙ্কট লেগে গেলো।

অথচ, গত তিন চার দিন ধরে নিউজে দেখলাম বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মাস্কের কোন প্রয়োজন নাই, মাস্ক দিয়ে কোন লাভ হয় না, এই ভাইরাস ঠেকাতে গেলে হাত মুখ ধুতে হবে, হাত দিয়ে মুখে স্পর্শ করা যাবেনা।

গত দুই এক দিন আগের বিবিসির একটা রিপোর্টে ডক্টর আডেলে ম্যাকডারমেট দেখালেন কিভাবে হাত ধুতে হয়। ওই রিপোর্টটা বিশ্ব জুড়ে ভাইরাল হলো ।

বিষয়টা অদ্ভুত না ?

শ্বাস প্রশ্বাসের কারনে ভাইরাস ছড়ায় না বুঝলাম, কিন্তু হাত ধুলে ভাইরাসের বিস্তার কিভাবে বন্ধ হবে ? ফেস মাস্ক পরার পরামর্শ এতো দিন কেন দেওয়া হলো। আমি সেই ইউরোপে বসে ফেসমাস্কের সাপ্লায়ার খোজার ইঙ্কুয়ারি পেয়েছি।

আজকে, ডাক্তার রুমি ভাইয়ের আলোচনায় তার ব্যাখ্যা পেলাম।

করোনা ভাইরাস বাতাসে উড়ে বেড়াতে পারেনা। একজন রোগী যদি আপনার মুখের উপরে হাঁচি না দেয় বা আপনার মুখে কোন কারনে কফ না ফেলে তবে রোগীর সাথে সামনা সামনি কথা বললে বা পাবলিক প্লেসে হেটে গেলে ভাইরাস উড়ে গিয়ে আপনাকে আক্রান্ত করবেনা।
তাহলে কিভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায় এবং তার সাথে হাত ধোয়ার সম্পর্ক কি ?

বাতাসে উড়তে না পারার কারনে, আক্রান্ত রোগীর থেকে ঝরে পরে করোনা ভাইরাস রোগীর পাশে মাটিতে বা টেবিলে বা চেয়ারে বা রেলিং, বা কম্পিউটারের কি বোর্ডে, বা পাবলিক টয়লেটের হ্যান্ডেলে , দরোজায়, দরোজার হ্যান্ডেলে, রাস্তায়, ফাস্ট ফুড চেইনে,খুচরা টাকা এবং কয়েনে, এমন কি করিডোরে বা যে কোন উন্মুক্ত অঞ্চলে মাটিতে পরে থাকতে পারে।

যখন একটা ব্যক্তি এই উন্মুক্ত অংশ গুলো হাত দিয়ে স্পর্শ করে তখন ভাইরাসটি তার হাতে লেগে যায়। কিন্তু এই খানে শেষ নয় ভাইরাসটিকে আপনার মুখ বা নাক দিয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে হবে। ফলে কোন ব্যক্তি যদি সেই ভাইরাস লেগে থাকা কোন কিছু স্পর্শ করে নিজের মুখে হাত দেয় তবে, সেই ভাইরাস তার চোখ, নাখ এবং মুখের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ পায়।

এমনকি পাবলিক প্লেসে আপনার জুতা থেকে আপনার হাতে এবং তারপরে মুখে লেগে সংক্রমণ হতে পারে।

তাই বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব চেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে হাত ধোয়া।

এবং এমন ভাবে হাত ধোয়া যেন হাতের আঙ্গুলের গর্তে, নখ এবং আঙ্গুলের মাঝের কানায় কোঁচায় সব স্থানে ঘষে ঘষে সাবান দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।

দ্বিতীয় হচ্ছে হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ না করা।

তৃতীয় ফেস মাস্কে কাজ হয় না, তা ঠিক নয়। ফেস মাস্ক আপনার নিজের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবে এবং অবশ্যই করোনা হাঁচি বা কাশিতে ছড়ায়।

ডাক্তার রুমি বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তারের অতিরিক্ত একটি ঝুঁকি আছে।এই ঝুঁকিটি তৈরি হয়, পাবলিক প্লেসে বাঙালি জাতির ডিএনএতে বয়ে আসা অভ্যাস থুতু, কাশি এবং কফ ফেলার প্রবণতার কারনে। এবং ঠিক এই কারনেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে।

কিন্তু তারপরে ও প্যানিক করা যাবেনা।

ডাক্তার রুমির মতে, বাংলাদেশে করোনার ঝুঁকি অনেক বেশি এবং বাংলাদেশে করোনা যদি বিস্তার লাভ করে তা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। কিন্তু প্যানিক করার কিছু নাই কারন করোনার ফাটালিটির হার অনেক কম যদিও অন্যান্য ভাইরাস থেকে করোনার ছড়ানোর হার অনেক বেশি।

করোনার ফাটালিটি সব চেয়ে বেশি বয়স্কদের এবং সব চেয়ে কম ছোটদের। যদিও কারো পূর্ব থেকে কোন সমস্যা থাকলে করোনার
কারনে যে কোন কিছুই হতে পারে।

কিন্তু প্যানিক করা যাবেনা কিন্তু অবশ্যই সতর্কতা নিতে হবে।

প্রফেশনালরা হাত ধোয়ার, মুখ স্পর্শ না করার, মাস্ক পরার, এবং পাবলিক প্লেসে উন্মুক্ত জিনিষ স্পর্শ না করা, ঘরের বাহিরে জুতো খুলে, তারপরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ঘরে প্রবেশ করার যে পরামর্শ দিয়েছে সে সকল পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

বিশেষত হাত ধোয়ার সময়ে সাবান দিয়ে বা স্যানিটাইজার দিয়ে আঙ্গুলের কোনায় কোনায় বিশেষত নখের কোনায় ঘষে ঘষে ধুতে হবে। হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করা যাবেনা।

তাহলে বাংলাদেশে যদি করোনা ভাইরাস আমাদের অজ্ঞতাপ্রসূত বিস্তার লাভ করেও আপনি ও আপনার পরিবার ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

ডাক্তার রুমি ভাইকে এই প্রফেশনাল আপডেট গুলোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

করোনা ভাইরাস বিষয়ক উপদেশ:-

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নিজেই পরীক্ষা করুন।
সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জ্বর বা কাশি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস (সূক্ষ্ম অংশুসমূহের বৃদ্ধি) তৈরি হয়ে যায়, যার মানে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেটা নিজে নিজেই পরীক্ষা করার একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যেটা কেউ প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ডে একবার পরীক্ষা করে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। পরীক্ষাটা হলো;

পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে আটকে রাখুন। যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনার কোনো কাশি না আসে, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না হয়, মানে কোনো প্রকার অস্বস্তি না লাগে, তার মানে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি অর্থাৎ কোনো ইনফেকশন হয়নি, আপনি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত আছেন।

জাপানের ডাক্তাররা আরেকটি অত্যন্ত ভালো উপদেশ দিয়েছেন যে, সবাই চেষ্টা করবেন যেন আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা কখনো শুকনো না হয়ে যায়, ভেজা ভেজা থাকে। তাই প্রতি পনেরো মিনিট অন্তর একচুমুক হলেও পানি পান করুন।

কারণ, কোনোভাবে ভাইরাসটি আপনার মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলেও সেটি পানির সাথে পাকস্থলীতে চলে যাবে, আর পাকস্থলীর এসিড মুহূর্তেই সেই ভাইরাসকে মেরে ফেলবে।

জনসচেতনা | আল্লাহ আমাদের রক্ষা কর।

🎯করোনা মোটামুটি বড়সড় একটি ভাইরাস। তবুও খালি চোখে দেখা যাবে না, ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ লাগবে এটাকে দেখতে!

🎯এর আকারের কারনে বাজারে পাওয়া যায় এমন মাস্ক এটাকে প্রতিরোধ করতে স্বক্ষম হবে।

🎯যেহেতু এই ভাইরাসটি বাতাসে নয়, মাটিতে অবস্থান করে, তাই এটা বাতাসে ছড়ায় না।

🎯কোন ধাতব তলে বা বস্তুতে করোনা পড়লে প্রায় ১২ ঘন্টা জীবীত থাকতে পারে। তাই সাবান দিয়ে হাত ধুলেই যথেষ্ট হবে।

🎯কাপড়ে এই ভাইরাসটি প্রায় ৯ ঘন্টা জীবীত থাকতে পারে। তাই, কাপড় ধুয়ে নিলে বা রোদে ২ ঘন্টা থাকলে এটি মারা যাবে।

🎯হাতে বা ত্বকে এই ভাইরাসটি ১০ মিনিটের মতো জীবীত থাকতে পারে। তাই, এলকোহল মিশ্রিত জীবানু নাশক হাতে মেখে নিলেই জীবানুটি মারা যাবে।

🎯করোনা গরম আবহাওয়ায় বাঁচে না। ৭০ সেলসিয়াস তাপমাত্রা এটিকে মারতে পারে। কাজেই, ভাল না লাগলেও এখন বেশি বেশি গরম পানি পান করবেন, আইসক্রিম থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন।

🎯লবন মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গারগল করলে গলার মিউকাস পরিষ্কার হবার সাথে সাথে টনসিলের জীবানুসহ করোনাও দূর হবে, ফুসফুসে সংক্রমিত হবে না।

🎯আর, নাকে-মুখে আঙ্গুল বা হাত দেবার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। কারন, মানব শরীরে জীবানু প্রবেশের সদর দরজা হলো নাক-মুখ-চোখ!

সূত্রঃ ইউনিসেফ

⚠️ করোনা ভাইরাস সম্পর্কে ( icddr,b ) আইসিডিডিআর কর্তৃক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।

উমরা বন্ধ হওয়া খুব দ্রুতই হজ্জ্ব বন্ধ হওয়ার আলামত।

উমরা বন্ধ হওয়া খুব দ্রুতই হজ্জ্ব বন্ধ হওয়ার আলামত। হজ্জ্ব বন্ধ হওয়া কিয়ামতের গ্রিন সিগন্যাল। একে ইমাম মাহদী আসার রেড সিগন্যালও বলতে পারেন। পাশাপাশি হজ্ব বন্ধ হওয়ার সাথে ইয়াজুজ মাজুজের বের হওয়ার নিশ্চিত আলামতও সম্পর্কিত আছে।

এ সম্পর্কিত একটি হাদীস বোখারী শরীফে আছে । “ইয়াজুজ-মাজুজের মুক্তির পরেও মানুষ আল্লাহর ঘরে (অর্থাৎ কাবা শরীফে) হজ্জ এবং ওমরাহ পালন করতে থাকবে”। তারপর হাদীসে আরও বলা হয়েছে, “কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না যে পর্যন্ত না হজ্জ বন্ধ হয়ে যাবে অর্থাৎ পরিত্যক্ত হবে” ।

অর্থাৎ হাদীসটি থেকে আমরা জানতে পারছি, ইয়াজুজ মাজুজ মুক্তির পরও হজ্ব চলতে থাকবে। এক পর্যায়ে তা বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ হজ্ব বন্ধ হয়ে গেলে আপনি ১০০% নিশ্চিত হলেন যে ইয়াজুজ মাজুজ মুক্তিপ্রাপ্ত অবস্থায় আছে ও কিয়ামত একেবারে নাকের ডগায় এসে পড়েছে।

উমরা ও হজ্জ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও আপনি কিভাবে দাবী করেন যে ইয়াজুজ-মাজুজ মুক্তি পায় নাই ? যা আমরা বহু বৎসর যাবৎ বলে আসছি।

হাদীসে বলা নেই, হজ্ব কি সাময়িকভাবে বন্ধ হবে, নাকি চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ হবে। আমরা আশা করি সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার কথাই বলা হয়েছে। সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার একটি সম্ভাব্য কারণ আছে। এই সময়ের ভেতর হযরত ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম বের হবেন।

আমরা জানি ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম মোট ৩১৩ জন অনুসারীকে বাইতুল্লাহর দেয়ালের সামনে বাইয়াত করাবেন। সেখানে সারা বছরের সবসময়ই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু উমরা ও হজ্ব বন্ধ হয়ে গেলেই কাবা চত্বর একেবারে খালি হয়ে যাবে।

প্রতি মুহূর্তে সেখানে যে তওয়াফ হয়, তাও সম্ভবত বন্ধ হয়ে যাবে। আজকের জমজমাট কাবা নিশ্চুপ হয়ে যাবে। সেখান থেকে সব প্রহরা উঠে যাবে। আর করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে সেখানে কোন প্রহরীও থাকবে না।

এমন এক সুনসান নীরবতায় ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম ও তার দল কাবা চত্বরে বাইয়াত নিবেন। যা আধুনিক বিশ্ব জানতেই পারবে না। ফেসবুকের মাধ্যমেও এই গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ লিক হওয়া থেকে আল্লাহ তায়ালা ইমাম মাহদীকে হেফাজত করবেন।

তারপর আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী একসময় এই খবর প্রকাশ হবে। বহির্বিশ্বের মানুষ ও আলেম উলামা নিশ্চিত হবেন তখনই, যখন বায়দা নামক স্থানে আল্লাহ মাহদী বিরোধী আর্মিকে ধসিয়ে দিবেন।

আর তখনই সারা পৃথিবীর সব মুসলমান ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের অভিমুখে বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে ছুটে আসতে থাকবে।

অতএব আমরা যারা মনে করছি ইমাম মাহদী আলাইহিস সালাম আসলে আমরা বাইতুল্লাহতে ৩১৩ জনের একজন হবো, সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ বাইতুল্লাহয় যাওয়ার সব রাস্তা আল্লাহ হয়তো অচিরেই বন্ধ করে দিবেন। আজকে আমরা দেখছি উমরা বন্ধ হয়ে গেছে। আমার একজন বন্ধু তার পরিবারসহ এই মাসে উমরায় যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা বাতিল হয়ে গেছে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের সাথে ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের সাথে পূর্ণ ঈমান অবস্থায় একত্রিত করুন, আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি।

করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, গ্লোবাল ইকোনমি ক্রাস, ত্রাস, ভয় এবং আতংক!

করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, গ্লোবাল ইকোনমি ক্রাস, ত্রাস, ভয় , আতঙকের উপর খুব অল্প কথায় ডাটা সহ জটিল বিশ্লেষণ করেছে হংকং বেইসড একটা অনলাইন পত্রিকা, পড়ে দেখুন, কাজে লাগবে।

২০০৩ সালে সারস ভাইরাসে এ্যাটাক করেছিলো প্রায় ২৬ টি দেশ। মৃত্যুহার ছিলো ১০%।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে ৫৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। মৃত্যুহার ৪.৫%
২০১৪ সালে ইবোলায় মৃত্যুহার ২৫% । মারা যায় ১১,৩১০ জন।
আর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার মাত্র ২%। মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩০৫২ জন।

এই যখন ঘটনা। তখন করোনা ভাইরাসে দুনিয়া ব্যাপি এতো আতঙ্ক ছড়ালো কেন? কেন ইতালি, চায়না, হংকং এর এয়ারপোর্ট একেবারে জনশূন্য হয়ে গেলো। গ্রোসারি মার্কেট, হোলসেলের দোকান একেবারে স্টক শূণ্য হয়ে গেলো। কেন প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার শেয়ার মার্কেটে রাতারাতি ক্রাস হয়ে গেলো। কেন ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে ব্যাপক ধ্বস নামলো?

কারণ হলো সংবাদ কনজিউমের পুরো ন্যাচারটিই দুনিয়াব্যাপি খুব দ্রত বদলে গেছে।

২০০৩ সালে ফেসবুক , হোয়াটসআপ ছিলোনা। যখন সারস ভাইরাসে ২৬ টি দেশ আক্রান্ত হয়।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর সময় দুনিয়াব্যাপি ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিলো মাত্র ১৫০ মিলিয়ন।
২০১৪ সালে ইবোলার সময় হোয়াটস্যাপ ব্যবহার কারী মাত্র ২৫০ মিলিয়ন।
আর ২০২০ সালে অন্যান্য মিডিয়া বাদ শুধু ফেসবুক আর হোয়াটসআপ ব্যবহার করছে লাখ, কোটি, মিলিয়ন না। প্রায় চার বিলিয়ন মানুষ।

সোসালমিডিয়ার এই শক্তি ব্যাপক। প্রতি সেকেণ্ডেই খবর ছড়াচ্ছে। কথায় বলে দুঃসংবাদ ঘোড়ার আগে ছুটে। একটা ভাইরাসে একজন মানুষের মৃত্যু সংবাদ এখন মুহুর্তেই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সুতরাং মানুষতো আতংকিত হবেই।

দূর বলতে এখন আর কিছুই নেই। চায়নার উহানের দূর্ঘটনাকে মনে হবে আপনার পাশের বেডরুমেই ঘটছে। হাজার হাজার গ্রুপে, হাজার হাজার পেজে একই সংবাদ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সংবাদ যদি হয় দুঃসংবাদ। আর এই বিশাল মিডিয়া পাওয়ারই দুনিয়াব্যাপি মানুষকে আতংকিত করেছে এবং গ্লোবাল ইকোনিমিতে ধ্বস নামিয়েছে।

ওয়ার্ল্ড হেলথের অর্গের মতে-সাবধান হোন। আতংকিত হবেন না। আপনার বয়স যদি ৫০ এর নীচে হয় তবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ০.০২%। ৫০ এর ওপরে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ১.৫% তাও যদি শ্বাসকষ্ট থাকে। যত লোক মারা গেছে তাদের ৯৮% এর বয়স ৮০ এর ওপরে।

আর আমরাতো পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরের বাতাস প্রতি সেকেণ্ডে গ্রহণ করে , ফরমালিন যুক্ত খাবার দিনে তিনবেলা পেটে চালান করে, ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের গোডাউনে বাস করে-মশা মাছির উপদ্রবকে নিত্য সাথী করে আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ইস্পাতের মতো শক্ত করে নিয়েছি।

আমাদের সাথে পাল্লা দিতে হলে বরং করোনা ভাইরাসকেই মাস্ক পরে আগাতে হবে, সুতরাং এতো পেনিক হওয়ার কিছু নেই।

ভাইরাস যদি বাতাসে উড়তো আর যে ভাবে পেনিক ছড়িয়েছে সেভাবে সংক্রমিত হতো আর সংক্রমনের সাথে সাথে মানুষ মারা যেতো তবে দেশে দেশে এতোক্ষণে লাশের পাহাড় হয়ে যেতো, তাই পেনিক হওয়া যেমন ঠিকনা। আবার একেবারে এটি খুব সিম্পল একটা ব্যাপাার এরকম ভেবে অবহেলা করে মৌজ মাস্তি করাও ঠিক না।

কথায় বলে সাবধানের মার নেই। সাবধান হোন। কিন্তু পেনিক হবেন না। পেনিক ছড়াবেন না। শীত চলে গিয়ে উষ্নদিন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই করোনার খেল খতম হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। বিপদ কেটে যাক। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবাইকে, সব জাতিকে, সব মানুষকে হেফাজত করুন। আমিন।

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  এই লিংক দুটি ( লিংক০১ ও লিংক০২ ) ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

করোনা ভাইরাসের দাবি সে,১০০ কোটি মানুষ মেরে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে!

বাংলাদেশের ব্যাপারে ”করোনা ভাইরাস” যে কথা বললেনইতালির এক যুবক তার স্বপ্নে সে “করোনা ভাইরাস” এর সাথে কথা বললেন। বাংলাদেশের ব্যাপারে ”করোনা ভাইরাস” যে কথা বললেনঃ মুফতি কাজী ইব্রাহীম

https://www.facebook.com/azharivideo/videos/195980358297364/?t=82

করোনাময় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠাপূর্ণ সমসাময়িক পরিস্থিতির সাথে ১৪০০ বছর আগের সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘটনা।



সাহাবীদের সময়ে একবার মহামারি প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শাহাদাতবরণ করেন অনেক সাহাবী। তার মধ্যে একজন ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী।

৬৩৯ খ্রিস্টাব্দ। তখন খলিফা ছিলেন উমর ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু)। প্লেগ দেখা দিয়েছিলো সিরিয়ায়-প্যালেস্টাইনে। ইতিহাসে যা ‘আম্মাউস প্লেগ’ নামে পরিচিত। উমর (রাঃ) সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। ‘সারগ’ নামক জায়গায় পৌছার পর সেনাপতি আবু উবাইদাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) খলিফাকে জানালেন, সিরিয়ায় তো প্লেগ দেখা দিয়েছে।

উমর (রাঃ) প্রবীণ সাহাবীদেরকে পরামর্শের জন্য ডাকলেন। এখন কী করবো? সিরিয়ায় যাবো নাকি যাবো না? সাহাবীদের মধ্য থেকে দুটো মত আসলো। একদল বললেন, “আপনি যে উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, সে উদ্দেশ্যে যান”। আরেকদল বললেন, “আপনার না যাওয়া উচিত”।

তারপর আনসার এবং মুহাজিরদের ডাকলেন পরামর্শ দেবার জন্য। তারাও মতপার্থক্য করলেন। সবশেষে বয়স্ক কুরাইশদের ডাকলেন। তারা এবার মতানৈক্য করলেন না। সবাই মত দিলেন- “আপনার প্রত্যাবর্তন করা উচিত। আপনার সঙ্গীদের প্লেগের দিকে ঠেলে দিবেন না।”

উমর (রাঃ) তাঁদের মত গ্রহণ করলেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, মদীনায় ফিরে যাবেন। খলিফাকে মদীনায় ফিরে যেতে দেখে সেনাপতি আবু উবাইদাহ (রাঃ) বললেন, “আপনি কি আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর থেকে পালানোর জন্য ফিরে যাচ্ছেন?”

আবু উবাইদাহর (রাঃ) কথা শুনে উমর (রাঃ) কষ্ট পেলেন। আবু উবাইদাহ (রাঃ) ছিলেন তাঁর এতো পছন্দের যে, আবু উবাইদাহ (রাঃ) এমন কথা বলতে পারেন উমর (রাঃ) সেটা ভাবেননি।

উমর (রাঃ) বললেন, “ও আবু উবাইদাহ! যদি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ কথাটি বলতো! আর হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর এক তাকদীর থেকে আরেক তাকদীরের দিকে ফিরে যাচ্ছি।”
..
আল্লাহর এক তাকদীর থেকে আরেক তাকদীরের দিকে ফিরে যাওয়ার মানে কী? উমর (রাঃ) সেটা আবু উবাইদাহকে (রাঃ) বুঝিয়ে বলেন, “তুমি বলতো, তোমার কিছু উটকে তুমি এমন কোনো উপত্যকায় নিয়ে গেলে যেখানে দুটো মাঠ আছে। মাঠ দুটোর মধ্যে একটি মাঠ সবুজ শ্যামল, আরেক মাঠ শুষ্ক ও ধূসর। এবার বলো, ব্যাপারটি কি এমন নয় যে, তুমি সবুজ মাঠে উট চরাও তাহলে তা আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ী চরিয়েছো। আর যদি শুষ্ক মাঠে চরাও, তা-ও আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ী চরিয়েছো।”

অর্থাৎ, উমর (রাঃ) বলতে চাচ্ছেন, হাতে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভালোটা গ্রহণ করা মানে এই না যে আল্লাহর তাকদীর থেকে পালিয়ে যাওয়া।

কিছুক্ষণ পর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আসলেন। তিনি এতক্ষণ অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি এসে রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি হাদীস শুনালেন।

“তোমরা যখন কোনো এলাকায় প্লেগের বিস্তারের কথা শুনো, তখন সেখানে প্রবেশ করো না। আর যদি কোনো এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব নেমে আসে, আর তোমরা সেখানে থাকো, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেও না।” [সহীহ বুখারীঃ ৫৭২৯]

রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীসটি সমস্যার সমাধান করে দিলো। উমর (রাঃ) হাদীসটি শুনে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন।

মদীনায় ফিরে উমর (রাঃ) আবু উবাইদাহকে (রাঃ) চিঠি লিখলেন। “আপনাকে আমার খুব প্রয়োজন। আমার এই চিঠিটি যদি রাতের বেলা আপনার কাছে পৌঁছে, তাহলে সকাল হবার পূর্বেই আপনি রওয়ানা দিবেন। আর চিঠিটি যদি সকাল বেলা পৌঁছে, তাহলে সন্ধ্যা হবার পূর্বের আপনি রওয়ানা দিবেন।”

চিঠিটা পড়ে আবু উবাইদাহ (রাঃ) বুঝতে পারলেন। খলিফা চাচ্ছেন তিনি যেন প্লেগে আক্রান্ত না হন। অথচ একই অভিযোগ তো তিনি উমরকে (রাঃ) করেছিলেন।

প্রতিউত্তরে আবু উবাইদাহ (রাঃ) লিখেন- “আমিরুল মুমিনিন! আমি তো আপনার প্রয়োজনটা বুঝতে পেরেছি। আমি তো মুসলিম মুজাহিদদের মধ্যে অবস্থান করছি। তাদের মধ্যে যে মুসিবত আপতিত হয়েছে, তা থেকে আমি নিজেকে বাঁচানোর প্রত্যাশী নই।

আমি তাদেরকে ছেড়ে যেতে চাইনা, যতোক্ষণ না আল্লাহ আমার ও তাদের মাঝে চূড়ান্ত ফয়সালা করে দেন। আমার চিঠিটি পাওয়ামাত্র আপনার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুন এবং আমাকে এখানে অবস্থানের অনুমতি দিন।”

চিঠিটি পড়ে উমর (রাঃ) ব্যাকুলভাবে কান্না করেন। তাঁর কান্না দেখে মুসলিমরা জিজ্ঞেস করলো, “আমিরুল মুমিনিন! আবু উবাইদাহ কি ইন্তেকাল করেছেন?” উমর (রাঃ) বললেন, “না, তবে তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।” [আসহাবে রাসূলের জীবনকথা, আব্দুল মা’বুদ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯৩-৯৪]

কিছুদিন পর আবু উবাইদাহ (রাঃ) প্লেগে আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হবার অল্পদিনের মধ্যেই শাহাদাতবরণ করেন।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “(প্লেগ) মহামারীতে মৃত্যু হওয়া প্রত্যেক মুসলিমের জন্য শাহাদাত।” [সহীহ বুখারীঃ ২৮৩০]


আবু উবাইদাহ (রাঃ) ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী। আশারায়ে মুবাশশারার একজন। রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকালের পর খলিফা নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠলে আবু বকর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) আবু উবাইদাহকে (রাঃ) প্রস্তাব করেন।

উমর (রাঃ) ইন্তেকালের আগে কে পরবর্তী খলিফা হবেন এই প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, “যদি আবু উবাইদাহ বেঁচে থাকতেন, তাহলে কোনো কিছু না ভেবে তাঁকেই খলিফা বানাতাম।”

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্লেগ সম্পর্কে বলেন, “এটা হচ্ছে একটা আজাব। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের উপর ইচ্ছা তাদের উপর তা প্রেরণ করেন।

তবে, আল্লাহ মুমিনদের জন্য তা রহমতস্বরূপ করে দিয়েছেন। কোনো ব্যক্তি যদি প্লেগে আক্রান্ত জায়গায় সওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে, তাহলে সে একজন শহীদের সওয়াব পাবে।” [সহীহ বুখারীঃ ৩৪৭৪]

আবু উবাইদাহর (রাঃ) ইন্তেকালের পর সেনাপতি হন রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরেক প্রিয় সাহাবী মু’আজ ইবনে জাবাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু)। সবাই তখন প্লেগের আতঙ্কে ভীত-সন্ত্রস্ত। নতুন সেনাপতি হবার পর মু’আজ (রাঃ) একটা ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বলেনঃ

“এই প্লেগ আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মুসিবত নয় বরং তাঁর রহমত এবং নবীর দু’আ। হে আল্লাহ! এই রহমত আমার ঘরেও পাঠাও এবং আমাকেও এর যথেষ্ট অংশ দান করুন।” [হায়াতুস সাহাবাঃ ২/৫৮২]

দু’আ শেষে এসে দেখলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয়পুত্র আব্দুর রহমান প্লেগাক্রান্ত হয়ে গেছেন। ছেলে বাবাকে সান্ত্বনা দিয়ে কুর’আনের ভাষায় বলেনঃ “আল-হাক্কু মির রাব্বিকা ফালা তাকুনান্না মিনাল মুমতারিন- সত্য তোমার রবের পক্ষ থেকে। সুতরাং, তুমি কখনো সন্দেহ পোষণকারীর অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।” [সূরা বাকারাঃ ২:১৪৭]

পুত্রের সান্ত্বনার জবাব পিতাও দেন কুর’আনের ভাষায়ঃ “সাতাজিদুনী ইন শা আল্লাহু মিনাস সাবিরীন- ইন শা আল্লাহ তুমি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবে।” [সূরা আস-সাফফাতঃ ৩৭:১০২]

কিছুদিনের মধ্যে তাঁর প্রিয়পত্র প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শহীদ হন, তাঁর দুই স্ত্রী শহীদ হন। অবশেষে তাঁর হাতের একটা আঙ্গুলে ফোঁড়া বের হয়। এটা দেখে মু’আজ (রাঃ) প্রচন্দ খুশি হন। আনন্দে বলেন, “দুনিয়ার সকল সম্পদ এর তুলনায় মূল্যহীন।” অল্পদিনের মধ্যে তিনিও প্লেগে আক্রান্ত হয়ে শহীদ হন। [আসহাবে রাসূলের জীবনকথা, ৩/১৫১-১৫২]

দুই.

করোনা ভাইরাস অনেক জায়গায় মহামারি আকার ধারণ করেছে। সারাবিশ্বে এখন আলোচিত টপিক হলো করোনা ভাইরাস। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এর থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে ব্যস্ত।

বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর, স্টেশনগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কা’বা ঘরের তাওয়াফ সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে (এখন খুলে দেওয়া হয়েছে)। সবমিলিয়ে পুরো বিশ্ব একটা আতঙ্কের মধ্যে আছে।

ঠিক এই মুহূর্তে প্রশ্ন উঠছে- করোনা ভাইরাস কি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো আজাব?

বিগত কয়েক মাসের চীন সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব এবং মুসলিমদের উপর নির্যাতনের ফলে অনেকেই মনে করছেন, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব। চীন সরকার উইঘুরের মুসলিমদের যেমনভাবে নির্যাতন করেছে, মুসলিম আইডেন্টিটির জন্য তাদেরকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, চীন সরকারের এই ‘অ্যাকশন’ এর জন্য একটা ‘রিঅ্যাকশনারি’ অবস্থান থেকে মুসলিমরা কেউ কেউ করোনা ভাইরাসকে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব বলে অভিহিত করছেন।

রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীস থেকে দেখতে পাই, প্লেগকে তিনি বলেছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব, আবার বলেছেন এটা মুমিনদের জন্য শর্তসাপেক্ষে রহমত। একই মহামারি ভাইরাস কারো জন্য হতে পারে আজাব, আবার কারো জন্য হতে পারে রহমত।

তাই বলে, একে ঢালাওভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব কিংবা ঢালাওভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত বলার সুযোগ নেই।

মহামারি ভাইরাস যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব হয়ে থাকে, তাহলে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী আল্লাহর আজাবে ইন্তেকাল করেছেন? সাহাবীদের বেলায় আল্লাহ সাধারণভাবে ঘোষণা করেছেন- আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি।

তাহলে সুহাইল ইবনে আমর, মু’আজ ইবনে জাবাল, ফদল ইবনে আব্বাস, ইয়াজিদ ইবনে আবি সুফিয়ান, আবু মালিক আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) সাহাবীগণ আল্লাহর আজাবে নিপতিত হয়েছেন?

উত্তর হচ্ছে- না। রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীস অনুযায়ী ঐ মহামারিকে তারা রহমত হিশেবে নিয়েছিলেন। মহামারিতে মৃত্যুবরণ করাকে তারা শাহাদাত হিশেবে দেখেছেন। যার ফলে মু’আজ ইননে জাবাল (রাঃ) সেই রহমত পাবার জন্য দু’আ পর্যন্ত করেন।

তিন.

মহামারি থেকে বাঁচার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে দু’আ করবো, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবো। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্লেগের ব্যাপারে প্রথমে সতর্ক করেন- যেসব জায়গায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, সেসব জায়গায় যাবে না। তারপর বলেছেন, যেখানে আছো সেখানে প্লেগ দেখা দিলে অন্যত্র যাবে না।

রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীস, উমরের (রাঃ) আমল থেকে দেখতে পাই- মহামারির বেলায় প্রতিরক্ষার দিকে সতর্ক হবার শিক্ষা।

আবার অন্যন্য সাহাবীরা যখন প্লেগে আক্রান্ত হয়েছেন, তখন ধৈর্যধারণ করে, রহমত মনে করে আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নিয়েছেন। যার প্রতিদানস্বরূপ রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাদীস অনুযায়ী তাঁদের মৃত্যু হলো- শাহাদাতবরণ।

আমরাও করোনার ব্যাপারে যথাযথ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো, আল্লাহর কাছে দু’আ করবো। তারপরও যদি করোনা-আক্রান্ত হই তাহলে ধৈর্য ধরবো, আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট হবো এবং শাহাদাতের পেয়ালাপানে উন্মুখ থাকবো। ‘ভালো মন্দ যা কিছু ঘটুক, মেনে নেবো এ আমার ঈদ’।

করোনা ভাইরাসের আকার

করোনা ভাইরাসের আকার ২৭ থেকে ৩৪ কিলো বেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মতো। আবার কারো মতে, এটা নাকি .০২ ন্যানোমিটারের মতো। যা খালি চোখে দেখা সম্ভব না। এমনকি সাধারন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও না।

শুধুমাত্র দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রেই এই ভাইরাসটি দেখা যেতে পারে। তার মানে, এটাকে কয়েক লক্ষ গুন বড় করলে একটি চালের দানার পরিমান সমান হবে।

আর করোনা ভাইরাসের সামনে একটি চালের দানা বিশাল এক পাহাড়ের মতো। অথচ দেখুন, আজকে পুরো দুনিয়ার ৮০০ কোটি বিশাল মানুষ এই ক্ষুদ্রতম একটি ভাইরাসের সামনে কতটা অসহায়! কতটা শক্তিহীন! আজ দুনিয়ার সব শক্তিশালী মানুষ, শক্তিশালী রাষ্ট্র-রাজা-বাদশা, সামরিক শক্তি, পারমানবিক অস্ত্র, – সবই আজ ক্ষুদ্রতম একটি জীবাণুর সামনে কতটা অসহায়!

ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম একটি জীবাণু যদি এতটা শক্তিশালী হয়। তাহলে বিশ্ব মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা কতটা বড়। কতটা শক্তিশালী।

আসলে, এই মহামারী আমাদের নিজেদের সেই ক্ষুদ্রতারই পরিচায়ক। আসুন, আমরা নিজেদের মিথ্যা অহংকার-বড়াই, আত্মঅহমিকা, আর মিথ্যা বাহাদুরী পরিত্যাগ করে বিশ্ব মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে যার যার কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি।

আর নিজেকে, নিজের পরিবারকে এবং আশেপাশের সবাইকে এই মরনঘাতী মহামারী থেকে রক্ষার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করি। পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করি। সাহায্য চাই। আর আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলছেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও।

নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সূরা বাকারা : ১৫৩)। আল্লাহ বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু না কিছু দিয়ে পরীক্ষায় ফেলবোই।’ (সূরা বাকারা : ১৫৩)। কারন, দুনিয়া তো একটি পরীক্ষা কেন্দ্র মাত্র! আর পরীক্ষা জিনিসটা তো সবসময় একটু কঠিনই হয়। আর “যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।” (সূরা ত্বলাক : ৩)

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে গণসচেতনতা বাড়াতে মিযানুর রহমান আযহারীর লাইভটি সবাই শেয়ার করুন, ধন্যবাদ।
https://www.facebook.com/mizanurrahmanazhariofficial/videos/215722933119582/

করোনা ভাইরাসের প্রেক্ষাপটে শিক্ষণীয় ঘটনা

▪হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহুর জামানায় সিরিয়ায় একবার প্লেগ রোগ দেখা দিয়েছিলো। তখন সিরিয়ার সেনাপ্রধান ছিলেন হজরত আবু উবাইদা (রা.)। তিনি পত্র মারফত হজরত ওমর (রাঃ)-কে এ ব্যাপারে অবহিত করলেন।

▪ওমর (রাঃ) প্রবীণ সাহাবীদের পরামর্শের জন্য ডেকে এনে জানতে চাইলেন, এখন কী করবো? সিরিয়ায় যাব নাকি যাবো না?
সাহাবীদের থেকে দু’ধরনের অভিমত এলো। কেউ বললেন, আপনি যে উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, সে উদ্দেশ্যে যান। কেউবা বললেন, আপনার না যাওয়াই উচিত।

▪‌তারপর আনসার এবং মুহাজিরদের ডাকলেন। তারাও মতপার্থক্য করলেন।

▪সবশেষে বয়স্ক কুরাইশদের ডাকলেন। তারা বললেন, আপনার প্রত্যাবর্তন করা উচিত। দয়াকরে আপনার সঙ্গীদের প্লেগের দিকে ঠেলে দিবেন না।

▪‌ওমর (রাঃ) সিদ্ধান্ত নিলেন, মদীনাহ-য় ফিরে যাবেন। খলিফাকে মদীনাহ-য় ফিরে যেতে দেখে সেনাপতি আবু উবাইদাহ (রাঃ) বললেন, আপনি কী আল্লাহর নির্ধারিত তাকদীর থেকে পালানোর জন্য ফিরে যাচ্ছেন?

▪‌ওমর (রাঃ) বললেন, হে আবু উবাইদাহ, যদি তুমি ব্যতীত অন্য কেউ কথাটি বলতো! (তাহলে আমার জন্য কথাটা মেনে নেয়া সহজ হতো।) আর হ্যাঁ, আমরা আল্লাহর এক তাকদীর থেকে আরেক তাকদীরের দিকে ফিরে যাচ্ছি। পলায়ন করছি না।

▪‌এক তাকদীর থেকে আরেক তাকদীরের দিকে ফিরে যাওয়ার কী অর্থ, এটাও তিনি আবু উবাইদাহকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

▪‌হজরত ওমর (রাঃ) বলেন, তুমি বলো তো, তোমার কিছু উটকে তুমি এমন কোনো উপত্যকায় নিয়ে গেলে যেখানে দুটো মাঠ আছে। মাঠ দুটোর মধ্যে একটি সবুজ শ্যামল, আরেকটি শুষ্ক ও ধূসর।

এবার বলো তো, ব্যাপারটি কী এমন নয়, যদি তুমি সবুজ মাঠে উট চরাও তাহলে তা আল্লাহর তাকদীর অনুযায়ী চরিয়েছো। আর যদি শুষ্ক মাঠে চরাও, তা-ও আল্লাহ তা’লার তাকদীর অনুযায়ী চরিয়েছো?

▪‌আসবাব গ্রহণ বা বাহ্যত ভালোটা গ্রহণ করা, এটা আল্লাহর তাকদীর থেকে পালিয়ে যাওয়া নয়! বরং ভালোটা গ্রহণ করাই ইসলামের দাবি।

করোনা ভাইরাস একটি আশীর্বাদ!!!

মিশরের একজন প্রাক্তন সংসদ সদস্যের বার্তাঃ

করোনারভাইরাসকে ঘৃণা করবেন না:

  • ১- এটা মানবতা ফিরিয়ে এনেছে
  • ২- মানুষকে তাদের স্রষ্টার কাছে এবং তাদের নৈতিকতায় ফিরিয়ে এনেছে
  • ৩- বার,নাইট ক্লাব,পতিতালয়,ক্যাসিনো বন্ধ করে দিয়েছে
  • ৪- এটি সুদের হারকে কমিয়ে এনেছে
  • ৫- পরিবারের সদস্যদের একসাথে নিয়ে এসেছে অশ্লীল আচরণ বন্ধ করেছে
  • ৬- এটি মৃত এবং নিষিদ্ধ প্রাণী খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে
  • ৭- এখনও পর্যন্ত এর কারণে সামরিক ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ স্বাস্থ্যসেবাতে স্থানান্তরিত হয়েছে
  • ৮- আরব দেশগলোতে শিশা নিষিদ্ধ করেছে
  • ৯- করোনাভাইরাস মানুষকে দুআ করতে বাধ্য করছে
  • ১০- এটি স্বৈরশাসক এবং তাদের ক্ষমতাকে তুচ্ছ করেছে
  • ১১- মানুষ এখন উন্নতি এবং প্রযুক্তির চেয়ে আল্লাহ/ইশ্বরের কাছে উপাসনা করছে
  • ১২- এটি কর্তৃপক্ষকে তার কারাগার এবং বন্দীদের দিকে নজর দিতে বাধ্য করছে
  • ১৩- এটি মানুষকে শিখিয়েছে কীভাবে হাঁচি এবং কাশি দিতে হয়, যেমনটি আমাদের নবী সাঃ ১৪০০ বছর আগে শিখিয়েছিলেন
  • ১৪- করোনাভাইরাস এখন আমাদের ঘরে সময় কাটানো,সহজ জীবনযাপন করা, অহেতুক প্রতিযোগিতা না করতে শিখিয়েছে। একই সাথ আমাদের চেতনা জাগ্রত করার জন্য এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা ও সাহায্য প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা আল্লাহর কাছে শুকর জানাচ্ছি। যারা জ্ঞানী তাদের জন্য এতে একটি দুর্দান্ত মুল্যবান শিক্ষা রয়েছে।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  এই লিংক দুটি ( লিংক০১ ও লিংক০২ ) ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।