গালি দিলে কি হবে বা গালাগালির কুফল / Abusive !

 

Abusive

 

 

আপনি কি নিয়মিত গালাগালি করেন? বাংলা, ইংরেজী, নানা ভাষার গালিতে কি আপনার ভান্ডার সমৃদ্ধ? 😛

 

— কেউ একটা গালি দিলে কি আপনি তাকে উত্তরে আরো দশটা কুৎসিত গালি শুনিয়ে দেন?

— বন্ধুদের গালি দিয়ে ডাকা বা কথায় কথায় গালি ব্যবহার করা কি আপনার অনেকদিনের অভ্যাস?

— গালি দেওয়াকে কি আপনি খুব স্মার্টনেস মনে করেন?

— আপনি কি আধুনিক, যুগোপযোগী ও ক্রিয়েটিভ গালি তৈরী ও ব্যবহার করতে পারেন?

— আপনার দলের, আপনার মতের বিরুদ্ধে গেলেই আপনি কি তাকে ধুয়ে দিচ্ছেন? অপমান অপদস্ত করতে একটুও জবান কাপে না, যে এটা আপনার রসুলের আদর্শ নয়?
.
তাহলে, এখনো আপনার বুদ্ধিমত্তা খুব বেশি উন্নত পর্যায়ে পৌছায়নি।আপনি এখনো নিজের ভাষা ও অনুভূতিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করা শিখতে পারেননি। আপনি আরো চেষ্টা করুন ও আপনার গালি পারদর্শী বন্ধুদের এই তথ্যটি জানিয়ে দিন।
.
এরপর থেকে কেউ আপনাকে গালি দিলে তাকে বাজে কথা না বলেও কিভাবে একটি সুন্দর উত্তর দেওয়া যায় তা নিয়ে চিন্তা করুন। আল্লাহ্‌ আপনাকে কি কি নির্দেশ দিয়েছেন তা মনে করুন-
.
আল্লাহর বান্দা তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদের সাথে যখন মুর্খরা কথা বলতে থাকে, তখন তারা বলে, সালাম। (২৫:৬৩)
.
কথা বলার সময় সবচেয়ে মার্জিত শব্দ ব্যবহার করবে এবং সবচেয়ে সুন্দর ভাবে কথা বলবে। (২:৮৩)
.
চিৎকার করবে না, কর্কশ ভাবে কথা বলবে না, নম্র ভাবে কথা বলবে। (৩১:১৯)
.
কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না, টিটকারি দিবে না, ব্যঙ্গ করবে না। (৪৯:১০)
.
অন্যকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে না, কারো মানহানি করবে না। (৪৯:১০)
.
কাউকে কোন বাজে নামে ডাকবে না। (৪৯:১০)
.
কারো পিছনে বাজে কথা বলবে না। (৪৯:১২)

.
আপনার জীবনের গতি পরিবর্তন করুন। আজকে যেই দুনিয়ার প্রেমে পড়ে আল্লাহ’কে ভুলে গেছেন? সময়মতো এই পৃথিবী আপনাকে লাথি মেরে বিদায় করে দিবে! দুনিয়া আপনাকে লাথি মারার আগে আপনি দুনিয়াকে লাথি মারুন। ছুটে চলুন রবের দিকে। তিনি আপনার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষা করে আছেন। আপনাকে হাউজে কাওসারের পানি পান করানোর অপেক্ষায় থাকবে, দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিটি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]
.
আজকে থেকেই সিদ্ধান্ত নিন, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সুন্নাহ অনুসরণ করবেন। হ্যাঁ সিদ্ধান্ত নিন, একটা সুন্নাতও যেন ছুটে না যায়। আজকেই, এখন এই মুহুর্তে সিদ্ধান্ত নিন, নিয়ত করুন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন।
.
আপনি এক স্টেপ এগিয়ে যান,আল্লাহর সাহায্য আপনার দিকে দুই স্টেপ এগিয়ে আসবে,এটাই আল্লাহর ওয়াদা। শয়তান বারবার ধোঁকা দেয় তোর অনেক সময় বাকি আছে আরেকটু বয়স হলে তাওবা করে নিবি। হটাৎ চেইঞ্জ হলে সমাজের মানুষেরা কি ভাববে, পরিবারের মানুষগুলো কি বলবে,আজ থাক! বিশ্বাস করুন এটা শয়তানের চরম ধোঁকা।
.
আপনি আপনার রবের দিকে ছুটে চলবেন, ভাবনায় আনুন, তাতে কে কি ভাবলো কে কি বললো এসব বাঁকা চোখের চাহুনিতে আমার কিছুই যায় আসে না। গোটা দুনিয়ার মানুষ যদি আমাকে ঘৃণা করে আর যদি আমি আল্লাহর কাছে প্রিয় হয়ে যাই, তাহলে আমি সফল। গোটা দুনিয়ার মানুষ আমাকে ভালোবাসে কিন্তু আল্লাহর কাছে যদি আমি প্রিয় না হয়ে যাই, তাহলে অবশ্যই আমি চরম ক্ষতিগ্রস্ত! লেখাঃ ডা. সাঈদ (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন! শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ ! 

 
Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )

 

ইসলামে অন্যকে গালি দেয়া সম্পূর্ণ হারাম।

 

যেকোনো কারণেই হোক, কাউকে গালি দেয়ার অনুমতি নেই। হাসি-কৌতুক ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দেয়া ইসলামের দৃষ্টিতে অশোভনীয়।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।(সুরা আহযাব, আয়াত: ৫৮)

যার মধ্যে চারটি অভ্যাস আছে তাকে হাদিসে মুনাফিক বলা হয়েছে। এগুলোর কোনো একটি পাওয়া গেলেও সে মুনাফিক হিসেবে ধর্তব্য হবে। হাদিসের আলোকে সেগুলো হলো, ‘যখন তাকে বিশ্বাস করা হয়, সে বিশ্বাস ভঙ্গ করে। কথা বললে, মিথ্যা বলে। অঙ্গিকার করলে ভঙ্গ করে এবং বিবাদ-বিতর্কে উপনীত হলে অন্যায় পথ অবলম্বন করে। (বুখারি, হাদিস নং : ৩৪; মুসলিম, হাদিস নং : ১০৬)

অন্য হাদিসে আছে, মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষী ও গালিগালাজকারী হয় না। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২০৪৩)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৬০৪৫, ৭০৭৬; তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯৮৩)

অন্য এক হাদিসে আছে, ‘কবিরা গুনাহগুলোর একটি হলো নিজের বাবা-মা’কে অভিশাপ করা।’ জিজ্ঞেস করা হল, আল্লাহর রাসুল! মানুষ নিজের বাবা-মা’কে কিভাবে অভিশাপ করে?’ তিনি বললেন, ‘যখন সে অন্যের বাবাকে গালি-গালাজ করে, তখন সে নিজের বাবাকেও গালি-গালাজ করে থাকে। আর সে অন্যের মা-কে গালি দেয়, বিনিময়ে সে তার মা-কেও গালি দেয়।’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৭৩, তিরমিজি, হাদিস নং: ১৯০২)

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার (কোনো মুসলিম) ভাইয়ের সম্মান নষ্ট করেছে অথবা কোনো বিষয়ে জুলুম করেছে, সে যেন আজই (দুনিয়াতে) তার কাছে (ক্ষমা চেয়ে) হালাল করে নেয়-ওইদিন আসার আগে, যেদিন দিনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোনো নেক আমল থাকে, তবে তার জুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা থেকে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি তার কোনো নেকি না থেকে, তবে তার সঙ্গীর পাপরাশি তার (জালেমের) ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস নং: ২৪৪৯, ৬৫৩৪; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং: ৯৩৩২)

আল্লাহ তাআলা আমাদের গালমন্দ ও অশ্লীল বাক-বিনিময় থেকে রক্ষা করুন। মার্জিত ভাষা ও শ্রুতিমধুর শব্দ ব্যবহারের তাওফিক দান করুন। ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: hi@islamidawahcenter.com

 

কাউকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিলে কী হবে?

গালি আমাদের সমাজের এক মারাত্মক ব্যাধি। গালি দেয়া পাপের কাজ। গালিগালাজ করা কোনো সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়। মুদ্রাদোষ বা অভ্যাসবশত অনেকেই কথায় কথায় গালি দেন, অনেকেই হাসি-তামাশা ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দিয়ে বসেন এসবের কোনোটিই ঠিক নয়।

গালি আমাদের সমাজের এক মারাত্মক ব্যাধি। গালি দেয়া পাপের কাজ। গালিগালাজ করা কোনো সুস্থ মানসিকতার পরিচয় নয়। মুদ্রাদোষ বা অভ্যাসবশত অনেকেই কথায় কথায় গালি দেন, অনেকেই হাসি-তামাশা ও ঠাট্টাচ্ছলেও অন্যকে গালি দিয়ে বসেন এসবের কোনোটিই ঠিক নয়।

গালি সম্বন্ধে হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, এমন দুই ব্যক্তি, যারা একে অপরকে গালমন্দ করল, তখন ওই গালির পাপ সে ব্যক্তির ওপরই পতিত হবে, যে প্রথমে গালি দিয়েছে যে পর্যন্ত না নির্যাতিত ব্যক্তি সীমা অতিক্রম করে।

এই হাদিসের আলোকে বোঝা যায় যে, গালির সূচনাকারী ব্যক্তি অত্যাচারী এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি অত্যাচারিত। আর অত্যাচারিত ব্যক্তি ওই পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে যে পরিমাণ সে নির্যাতিত হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে গালি দ্বারা গালির প্রতিশোধ গ্রহণ না করাই উত্তম। অন্যথায় উত্তম ও অধমের প্রভেদ থাকবে না। এতে বোঝা যায় যে, কোনো মন্দ কাজের জবাব ভালো দ্বারা দেয়াই উত্তম। ইসলামের সৌন্দর্য হলো এমন কথা, কাজ ও বিষয় পরিহার করা যা নিরর্থক। অর্থাৎ যেসব কথা, কাজ ও বিষয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ফায়দা নেই তা পরিহার করা। গালি দেয়ার ফলে দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো উপকার হয় না বরং ক্ষতিই সাধিত হয় তাই আমাদের উচিত গালির অভ্যাস পরিত্যাগ করার।

কেননা হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, কোনো মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকি। বোখারি ও মুসলিম

জিহ্বার সংযত ও পরিমিত ব্যবহার সমাজ, পরিবারে ও রাষ্ট্রে শান্তি আসে। জিহ্বার ব্যবহার প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, যখন আদম সন্তান ভোরে ঘুম থেকে উঠে তখন তার অঙ্গসমূহ জিহ্বাকে বিনয়ের সঙ্গে বলে আমাদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। কেননা আমরা তোমার সঙ্গে জড়িত। সুতরাং তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকব। আর তুমি বাঁকা হলে আমরা ও বাঁকা হয়ে পড়ব। কিন্তু জিহ্বা যেহেতু মনের মুখপাত্র তাই সব অঙ্গের কার্যকলাপ জিহ্বা দ্বারা প্রকাশ পায়। সে জন্য অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, মন্দ কথা, খারাপ উক্তি ও গালি থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। হজরত রাসুলুল্লাহ [সা.] বলেছেন, যে নীরব থেকেছে সে মুক্তি পেয়েছে। [তিরমিজি] মাওলানা মিরাজ রহমান।

 

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।