তোতলামির সমস্যা এবং করণীয়
[ক]
এবিষয়ে সাপোর্ট গ্রুপে অনেকগুলো পোস্ট এসেছে। লাইভ কিউএ এবং অন্যান্য পোষ্টের কমেন্টেও অনেকে প্রশ্ন করেছেন, সংক্ষেপে তাদের উত্তর দেয়া হয়েছে। আর এই সমস্যার তেমন ভাল চিকিৎসাও আমাদের দেশে প্রচলিত নাই। তাই মনে হল, পোস্ট দিয়ে যদি কমেন্টের কথাগুলোই একটু বিস্তারিত বলি, তাহলে একসাথে অনেকেই উপকৃত হবে।
[খ]
যাহোক, তোতলামি সমস্যাটা কি আমরা দুইভাগে ভাগ করব –
১. জন্মগত বা কোন রোগের কারনে সমস্যা।
এক্ষেত্রে পরামর্শ হচ্ছে-
ক. দিনে কয়েকবার সম্ভব হলে প্রতি সালাতের পরেই সমস্যা থেকে আরোগ্যের নিয়াতে মুসা আলাইহিস সালামের দোয়াটা পড়া।
رَبِّ اشْرَحْ لِئ صَدْرِيْ وَيَسِّرْلِيْ اَمْرِىْ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّنْ لِّسَانِى يَفْقَهُوْا قَوْلِى –
উচ্চারণ:- রব্বিশ রহলী সদরী, ওয়া ইয়াসসিরলী আমরী, ওয়াহলুল ‘উক্বদাতাম্মিল লিসা-নী, ইয়াফক্বহূ কওলী।
অর্থ:- হে আমার পালনকর্তা! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কর্ম সহজ করে দিন, আমার জিহ্ববার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। (সুরা ত্বহা ২৫-২৮)
খ. শারীরিক অসুস্থতার রুকইয়াহতে বলা দোয়া এবং আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফু দিয়ে প্রতিদিন পান করা। (কমেন্টে লিংক)
[গ]
২. বদনজরের কারণে সমস্যা। কোন বাচ্চা অনেক সুন্দর করে কথা বলতো, হঠাৎ তোতলামি শুরু করলো, অথবা একদম কথা বন্ধ হয়ে গেল। শুধু বাচ্চা না বড়দের ক্ষেত্রেও হতে পারে।
এরকম অবস্থায় সমস্যা শুরু হওয়ার পর যত দ্রুত রুকইয়াহ করা যাবে, ততই ভালো। আর এজন্য পরামর্শ হচ্ছে –
ক. প্রথমত বদনজরের জন্য রুকইয়াহ করা।
খ. পাশাপাশি পূর্বে দুটি পরামর্শও ফলো করা।
কিছুদিন এভাবে নিয়মিত রুকইয়াহ করলে ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট উপকার পাওয়া যাবে।
[ঘ]
অভিজ্ঞতাঃ
এক শাইখের ঘটনা এরকম, উনার কাছে একটা ছেলেকে নিয়ে আসা হল, ছেলেটা পাবলিক প্লেসে লেকচার দিয়েছিল, এরপর বাড়িতে ফিরে কথা একদম বন্ধ হয়ে গেছে, আর কিছু বলতে পারছেনা। তো শাইখ ছেলেটার জন্য বদনজরের রুকইয়াহ করলেন, এরপর পানিতে ফুঁ দিয়ে কিছুদিন খেতে এবং গোসল করতে বললেন। আলহামদুলিল্লাহ কিছুদিন পর ছেলেটা একদম সুস্থ হয়ে গেল।
যতদূর মনে পড়ে তখন হিফযখানায় পড়তাম, এক বড় ভাইয়ের কিছুটা তোতলামি ছিল। তো উনার সার্কেলের কয়েকজন এটা নিয়ে ঠাট্টা মশকারি করত, ভ্যাংগাইতো। ক’দিন পর দেখা গেল, ওদের দু-একজন কথা বলার সময় তোতলাচ্ছে। আমার যতটুকু মনে পড়ে, সমস্যাগুলো তাদের থেকে গিয়েছিলো। উনারা আমার বেশ সিনিয়র ছিল, আমি যখন হিফযখানায় ঢুকি, তখন উনাদের ৩০পারা শেষ, শুনাচ্ছিলেন। পরে তাদের সমস্যা ভালো হয়েছে কিনা জানিনা।
তো, এ ঘটনার ব্যাখ্যা হতে পারে এরকম, যে ভাইটার সমস্যা ছিল, উনি যখন উনার ফ্রেন্ডদেরকে সুন্দর কথা বলতে দেখতেন, তখন ওনার হিংসা হত, এথেকে নজর লাগছে। অথবা যাদের সমস্যা হয়েছে, তাদের নিজের নজর নিজেকেই লাগছে। তাহলে ঘটনাটা এরকম হবে, ওই ভাইকে কষ্ট করে কথা বলতে দেখে সাথের অন্যদের মনে হতো, সে কথা বলতে পারছে না ঠিকমতো, আর আমি কত সুন্দর করে কথা বলছি! এ থেকে নিজের নজর নিজেকে লেগেছে। এটাও সম্ভব।
আজ এপর্যন্তই, কতটুকু উপকৃত হয়েছেন আশা করছি জানাবেন। আর দোয়ার সময় আমাদের জন্যও দোয়া করবেন করবেন…।
Related
Related Posts
Leave a Reply Cancel reply
Categories
- Ahle Hadis
- Bangladesh
- Death
- Do in Danger
- Dowry
- Dua
- Fasting
- Gazwatul Hind
- Hadith
- Humble
- Husband & Wife
- Iman
- Introduction to Allah
- Islamic Days
- Islamic Economi
- Islamic Education
- Islamic FAQ
- Islamic Future
- Islamic History
- Islamic Lectures
- Islamic Life
- Islamic Rules
- islamic song
- Jihad
- Jinn
- Magic
- Marriage
- Motivation
- Muhammad SM
- Muslims
- Parenting
- Patriotism
- Pending
- Personal Development
- Pornography
- Quran
- Ruqyah
- Safety
- Salah
- Sin
- Tajweed
- Veil
- weed
- Zakat
Recent Posts
- সঠিক ভাবে সালাম দেওয়া ও নেওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতি October 25, 2020
- রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে ইসলামের দিক-নির্দেশনা August 14, 2020
- সূরা জিন ও সূরা জিনের ফযিলত! May 23, 2020
- ঈদের সালাত ঘরে আদায় করা যাবে কিনা ও ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম? May 18, 2020
- Last 10 days of Ramadan May 17, 2020