শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদাসমূহ / The-Shiha-Are-The-Wrong-And-Unbelieving-Akida

 

The-Shiha-Are-The-Wrong-And-Unbelieving-Akida

 

 

শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদাসমূহ / The-Shiha-Are-The-Wrong-And-Unbelieving-Akida

শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদাসমূহ মাওঃ মাহমুদুল হাসান মুনিরী মৌলিকভাবে শিয়া সম্প্রদায় একটি বিভ্রান্তিকর দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে। এই শিয়া মতবাদ মূলতঃ ইয়াহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করণ। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাই তাদের প্রধান কাজ। সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাদের মত ও পথ এবং ভ্রান্ত আক্বিদা বিশ্বাস প্রচারে বিশ্বব্যাপী বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তৎপরতা চলছে সকল পর্যায়ে। তাদের বিভিন্ন ধরনের কালচারাল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা সাধারণ মুসলমানের হৃদয়ে একটি শক্ত আসন গেড়ে নিচ্ছে। বিভিন্নধরনের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে সবক ও তরুণদের মাঝে তাদের মত প্রচার করছে।

 

 

তাদের বাহ্যিক বেশভূষা দেখে সাধারণ মুসলমান ধোঁকায় পড়ছে এবং তাদেরকে মুসলমান ভাবতে শুরু করেছে। কখনো কখনো তাজিয়া মিছিল, আশুরা ও বিবিধ নামে তাদের কুফুরি ও ভ্রান্ত কার্যক্রমের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করছে, কেউবা আবার সরাসরি অংশগ্রহন করছে। বিশ্বাস করছে তাদের সকল আক্বিদায়। মূলত এমনটি হওয়ার প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণের নিকট শিয়াদের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা বিষয়ে কোন ধারণা নেই। তালিবুল ইলম ও সাধারণ আলেমদের মাঝে এবিষয়ে কোন আলোচনা ও চর্চা নেই। এবিষয়ে ওলামা হাযরাতের কলম ও জবান থেকে জোড়ালো কোন লেখা বা বক্তৃতাও নেই। এমতাবস্থায় এই ফিতনার বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামকে সোচ্চার হতে হবে। সাধারণ মুসলমানদেরকে তাদের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা-বিশ্বাস বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারে তরুণ ও যুবসমাজকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে শিয়াদের এই ‘আক্বিদা যুদ্ধ’ রুখে দিতে হবে। তাদের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির প্রথম ধাপ হচ্ছে তাদের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ জানা। তাদের কুফুরী আক্বীদা বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন করা। সে উদ্দেশ্যেই এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্তাকারে তাদের নিজেদের গ্রন্থ থেকেই তাদের কিছু ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা তুলে ধরা হলো।

১. শিয়া সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম ও মূল আক্বিদা এই যে, আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল (আ.) কে ওহি দিয়ে আলি (রা.) এর নিকট পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি ভুল করে মুহাম্মদ (স.) এর নিকট তা অবতীর্ণ করেছেন। (আল মুনিয়াহ ওয়াল আমাল ফি শারহিল মিলাল ওয়াননিহাল,পৃ. ৩০)

২. শিয়াদের শায়খ ও কর্তাব্যক্তিরা এই বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনে অনেক ত্রুটি রয়েছে। মূলত সঠিক কোরআন যখন ছাহাবাদের মাঝে ইরতিদাদ দেখা দিয়েছে (তাদের মতে) তখন তা আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (আত তানবীহ ওয়ার রাদ্দ পৃ.২৫)

৩. তাদের ধারণা যে, তাদের ইমামরাই আল্লাহ তায়ালা ও মানুষের মাঝে মধ্যস্থতাকারী। যেকোন সমস্যার সমাধানে তারা এগিয়ে আসতে পারবে। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৩ পৃ.৯৯)।

৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে, ইমামদের কবরের দিকে হজ্ব করা কাবায় হজ করার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ছাওয়াবের কাজ। (ছাওয়াবুল আমাল ওয়া ইকাবুল আমাল: পৃ.১২১-১২২)।

৫. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, যে ব্যক্তি হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করলো সে যেন আরশে আল্লাহ তায়ালার যেয়ারত করলো। (আলমাযার আল মুফীদ: পৃ.৫১)।

৬. তাদের মতে হুসাইন (রা.) এর কবরের মাটি সকল রোগের জন্য শিফা বা আরোগ্যের মাধ্যম। (আমালী: ৩১৮)।

৭. আল্লাহ তায়ালা এবং তাদের ইমামদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (মাছাবীহুল আনওয়ার ফি হাল্লি মুশকিলাতিল আখবার: খ.২ পৃ.৩৯৭)।

৮. শিয়াদের শায়খ কুলাইনী তার কিতাবে উল্লেখ করেছে যে, ভাগ্য খারাপ ও ভাল হওয়া এবং জান্নাত জাহান্নামে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু তারকা ও নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। (আর রওজা মিনাল কাফী খ.৮ পৃ.২১০৩)।

৯. শিয়াদের ধারণা, আলি (রা.) অদৃশ্যের খবর জানেন। তারা বলে, তিনি বলেছেন, ‘আমি জমিনের প্রতিপালক। আমার মাধ্যমেই জমীন স্থির রয়েছে। দেখুন: মিরআতুল আনওয়ার: ৫৯)। তারা এটিও বিশ্বাস করে যে, তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করতে পারেন। দেখুন: উসুলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩০৮)।

১০. শিয়া শায়খদের অভিমত, আলি (রা.) মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে সক্ষম। (উসূলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩৪৭)।

১১. আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময়ে প্রথম আসমানে নেমে আসেন, এটি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একটি মূল আক্বিদা। অথচ শিয়ারা এটি বিশ্বাস করেনা। বরং তাদের মতে যারা এই বিশ্বাস করে তারা সকলেই কাফের। (উসূলুল কাফী- খ.১ পৃ.৯০-৯১)।

১২. শিয়াদের একটি উপদল ইমামিয়্যাহ, তারা তাদের ইমামদেরকে আল্লাহ তায়ালার গুণে গুণান্নিত মনে করে। এমনকি তারা তাদেরকে আল্লাহ নামেও ডাকে। (উসূলুল কাফী-খ.১ পৃ.৩১০)।

১৩. শিয়াদের দাবি যে কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এর সাথে এটিও বলতে হবে যে ‘ওয়া আলিউন ওয়ালিউল্লাহ’ অর্থাৎ আলি আল্লাহ তায়ালার ওয়ালি। আজানে তারা এই বাক্যটি ব্যবহার করে এমনকি মৃত ব্যক্তিকে এই কালিমা বলে তালকীন করে। (ফুরুউল কাফী-খ.৩ পৃ.৮২)।

১৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে ব্যক্তি আবুবকর, ওমর, উছমান, মুআবিয়া , আয়েশা এবং হাফসা রাদিআল্লাহু আনহুমদের প্রতি ফরজ নামাজের পর অভিশাপ দিবে, তারা আল্লাহ তায়ালার অতি নৈকট্যশীল বান্দা হতে পারবে। (ফরুউল কাফী: খ.৩ পৃ. ২২৪)।

১৫. শিয়াদের শায়খদের ধারনা এবং দাবি যে, তারা সাধারণ শিয়াদের জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে। (রিজালুল কাশি: খ.৫ পৃ.৪৯০-৪৯১)।

১৬. মুতা বিবাহ (সাময়িক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিবাহ) যা ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম সেই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে তারা হালাল ঘোষণা করে। তারা বলে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষননা সে অভিভাবক ও সাক্ষি ব্যতিত মুতা বিবাহ করে। এমনকি তারা বলে, একজন মুমিন নারীর সাথে মুতা করা সত্তরবার কাবা যিয়ারতের থেকেও উত্তম। (মিসবাহুত তাহাজ্জুদ: পৃ.২৫২)।

১৭. ইমাম খোমেনী বলে, যেকোন ধরণের যৌন লালসা পুরণ করায় কোন গোনাহ নেই এমনকি তা যদি দুগ্ধজাত শিশুর সাথেও হয়। (তাহরীরুর ওয়াসিলাহ: খ.২ পৃ.২২১)।

১৮. শিয়াদের একটি বিশ্বাস হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে তাদের ইমামদের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই ফেরে।  

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন।

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে বিস্তারিত জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 
 
Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )