তাজওয়ীদ- Tajwid – মাখরাজ। মদের প্রকার । নুন । সাকিন ও তানভীনের কায়দা এবং র হরফ পড়ার নিয়ম।

 

আপনার কুরআন তেলাওয়াত কি শুদ্ধ হচ্ছে ? তাজওয়ীদ- Tajwid জানেন?

 

আমরা যেহেতু মুসলিম তাই প্রতিদিন আমাদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত করা অপরিহার্য। আর এই তেলাওয়াত করতে হবে শুদ্ধভাবে এবং সঠিক উচ্চারণে।।যদি নামাজে ভুল উচ্চারণে কুরআন তেলাওয়াত করা হয় তাহলে আমাদের নামাজ বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই চলুন আপনার কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধ হচ্ছে কি না তা পরীক্ষা  করা যাক- 

  •  আপনি কি আরবিতে (إِنْ شَاءَ ٱللَّٰهُ,) ইনশাআল্লাহ বলেন নাকি ইংশাআল্লাহ ?
  •  আপনার কাছে কি যাল(ذ) আর যা (ز) এর উচ্চারণ একই রকম   লাগে? হরফগুলোর উপরে ও নিচে যবর ,যের এবং পেশ দিয়ে দেখুন তো…
  •  আপনি কি (رَحِيْم) রহিম ও (رَحْمَن) রহমান বলেন নাকি রাহিম ও রাহমান বলেন?
  •  আপনি কি (مِنْ بَعْدِ) মিন বা’দি পড়েন নাকি মিম বা’দি?

উত্তর যদি ইনশাআল্লাহ , হ্যা, রাহিম ও রাহমান এবং মিন বা’দি হয় তাহলে আপনার কুরআন তেলাওয়াত  শুদ্ধ হচ্ছে না। কারণ-

  •  ইনশাআল্লাহ  এর নূনে সাকিনের পরে ইখফার হরফ শীন (ش) আছে যার জন্য এই নূন সাকিনকে নাকের   বাঁশীতে  গোপন করে গুন্নাহর সাথে পড়তে হয় ।
  •  জাল(ذ) এবং যা (ز) এর উচ্চারনের স্থান আলাদা। যাল(ذ) উচ্চারিত হয় জিহ্বার আগা সামনের উপরের দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে আর যা (ز)  উচ্চারিত হয় জিহ্বার আগা সামনের নিচের দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগিয়ে।
  •  (ر) ‘র’ এর উচ্চারণ মোটা হয় তাই বাংলা ‘র’ এর সাথে আকার প্রকাশ পায় না।
  • মিম বা’দি হওয়ার কারণ হচ্ছে এখানে নূনে সাকিনের পরে ইক.লাবের হরফ (ب)’বা’ রয়েছে তাই নূনে সাকিনকে মীম দ্বারা বদল করে গুন্নাহ সহকারে পড়তে হবে।

আমরা যারা বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছি তাদের ৭০% মানুষেরই কুরআন তেলাওয়াত  সহীহ/সঠিক হয় না।তাদের মধ্যে যারা ছোটবেলায় মক্তব বা মসজিদে গিয়ে কুরআন তেলাওয়াত  শিখেছি তাদের সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

আমি এতো নিশ্চিত হয়ে বলছি কারণ আমি নিজে এই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছি।চার বছর পূর্বে আমার মনে হলো হয়তো আমার কুরআন তেলাওয়াত  ভুল হচ্ছে তাই আমি ইউটিউব দেখে তা শুদ্ধ করার চেষ্টা করি।তারপর মনে হলো এইবার তাহলে ঠিক আছে কিন্তু না আমি কয়েকদিন আগে আরবি শেখার একটি ক্লাসে জয়েন হই তখন দেখলাম আমার মাখরাজ ই ঠিক করা হয়নি।

মনে মনে আফসুস করলাম হায়!! কি শিখিয়েছেন আমাদের হুজুরেরা আর কি শিখলাম আমরা।আমার মসজিদে পরার সময় অনেক হুজুরই পরিবর্তিতো হয়েছিলেন কিন্তু কেও ই এই নিয়মগুলো শিখান নি।

আমি অনেককেই দেখেছি ভুল উচ্চারণ করে পড়তে।একজনকে সঠিক উচ্চারণ কোনটি তা বললাম সে বলল আরে কুরাআন কি এতো কঠিন? নাহ কুরআন মোটেই কঠিন নয়। কুরআনকে আল্লাহ নিজেই আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

আপনি যদি এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যাওয়ার পর দেখেন যে আপনি ভুল পথে এসে গেছেন। তাহলে সঠিক পথে যেতে হলে আবার আপনাকে পূর্বের স্থানে যেতে হবে।তারপর সেখান থেকে আরো এক কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হবে ।এক্ষেত্রে আপনাকে সঠিক পথে যাওয়ার জন্য দুই কিলোমিটার রাস্তা বেশি হাঁটতে হবে। 

অর্থাৎ আপনি যেহেতু প্রথমেই আপনার ব্রেইনে ভুল তথ্য ইনপুট করে ফেলেছেন তাহলে সেটা মুঁছে আবার নতুন তথ্য ইনপুট করতে একটু কষ্ট তো  আপনাকে করতেই হবে।

আপনি এতদিন না জেনেই ভুল কুরআন তেলাওয়াত  করেছেন সেটা ইংশাআল্লাহ মহান আল্লাহ তা’য়ালা নিশ্চই ক্ষমা করে দিবেন যদি এখন জেনে তা শুদ্ধ করতে লেগে যান।আর অন্যান্য পোষ্টের মতো এটাও দেখলেন,পড়লেন তারপর কেটে দিলেন এরকম যদি করেন তাহলে আল্লাহই আপনাকে হেদায়াত দান করুন ।

আপনি যদি নিজের পড়া সহীহ করতে চান তাহলে আমার ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন।এখানে আমি আমার সাধ্য মতো শিখানোর চেষ্টা করবো।আমার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে আপনাদের ভুল ধরিয়ে দেয়া এবং সেখান থেকে কিভাবে সঠিকভাবে শিখা যায় তা দেখিয়ে দেয়া।আমার চেষ্টা থাকবে আমি যেরকম শিখেছি বা শিখছি সেইরকম সহজ করে শিখানোর।তাই যারা শিখতে চান তারা  আমার মেনুবার চেক করতে পারেন সেখানে আমি পর্যায়ক্রমে সবকিছু দেয়ার চেষ্টা করবো…

 

আরবি অক্ষরসমূহ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা

 

আরবি হরফ বাংলা উচ্চারণ সহ

নিচের এই আরবি হরফগুলোতো আমরা সবাই চিনি।যদিও আমি বলেছিলাম যে আমি শুধু আমরা যারা ভুল আরবি পড়া শিখেছি তাদের পড়া কিভাবে সঠিক করা যায় তা দেখাবো ।তারপরও এই হরফগুলো সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা দেয়া যাক।

আরবি বর্ণমালা

আরবি হরফ পরিচিতি। 29 Arabic Letters

 

আরবি হরফ কয়টি ? 

আরবি হরফ ২৯ টি।তার মধ্যে নুক.তাওয়ালা হরফ হলো ১৫ টি ।

যথা- ب ت ث ج خ ذ ز ش ض ظ غ ف ق ن ي   

এবং নুক.তা ছাড়া হরফ ১৪ টি ।

যথা- ا ح د ر س ص ط ع ك ل م و ه

 
এই হরফগুলোর কোনোটিকে মোটা করে পড়তে হয় আবার কোনোটিকে স্বাভাবিক ভাবে পড়তে হয় , কোনোটিকে শক্ত করে পড়তে হয় আবার কোনোটিকে পাতলা করে  পড়তে হয়।আবার  কোনোটিকে এক আলিফ লম্বা করে পড়তে হয় আর কোনোটিকে চার আলিফ লম্বা করে পড়তে হয়।এই পার্টে আমি এর একটি সাধারণ ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো।যখন মাখরাজ শিখা শুরু করবেন তখন ইংশাআল্লাহ এর একটি পুরোপুরি ধারণা পেয়ে যাবেন।(arbi shikkha in bangla)
 
*আলিফ(ا) -এটি উচ্চারণ করতে উপরের দাঁতের আগা নিচের ঠোঁটের পেটে লাগবে ।এক ঠোঁট আরেক ঠোঁটের সাথে লাগবেনা।
*বা(ب)-স্বাভাবিক অবস্থায় মিলানো ঠোঁট খোলে দিয়ে ‘বা’ উচ্চারণ করতে হয়।
* তা(ت)- এক আলিফ পরিমাণ লম্বা করে পড়তে হবে।  
*ছা(ث )- এক আলিফ পরিমাণ লম্বা করে পাতলা আওয়াজ করে পড়তে হবে। 
*জীম(ج )- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। শক্ত আওয়াজে পড়তে হবে। 
*হা(ح)- এক আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।কণ্ঠনালীর মাঝখান থেকে গরম বাতাসের সাহায্যে   উচ্চারিত হবে ।উচ্চারণে  বাংলা আকার প্রকাশ পাবে। (quran shikkha)
*খ(خ)- এই হরফ মোটা উচ্চারিত হবে। বাংলা ‘খ’ এর সাথে আকার প্রকাশ পাবে না। 
*দাল(د)- চার আলিফ লম্বা হবে এবং স্বাভাবিক উচ্চারণ হবে।
*যাল(ذ)- চার আলিফ লম্বা হবে এবং নরম উচ্চারণ হবে। 
*র(ر)- এই হরফ মোটা উচ্চারিত হবে। ‘র’ এর সাথে আকার প্রকাশ পাবে না।
*যা(ز)- এক আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।  
*সীন(س)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।
*শীন(ش)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।শুরুতে শীশ দিয়ে  আওয়াজ হবে। 
*ছ্বদ(ص)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।মোটা আওয়াজে পড়তে হবে। 
*দ্বদ(ض)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।মোটা আওয়াজে পড়তে হবে। 
*ত্ব(ط)- এক আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। জিহবার আগা উপরের দাঁতের গোঁড়ায়  ভিতর দিয়ে ধাক্কা দিয়ে  মুখ খুলে দিবে। 
*জ্ব (ظ)-এক আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।মোটা ও নরম  উচ্চারণ হবে।
*আঈন(ع)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।
*গঈন(غ)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।মোটা আওয়াজে  হবে।  বাংলা ‘গ’ এর সাথে আকার প্রকাশ পাবে না। 
*ফা(ف)- এক আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। 
*ক্বফ(ق)- শক্ত করে বলতে হয়। 
*কাফ(ك)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। স্বাভাবিক উচ্চারণ হবে। 
*লাম(ل)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। 
*মীম(م)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। 
*নূন(ن)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। 
*ওয়াও(و)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। 
*হা(ه)- স্বাভাবিক উচ্চারণ হবে। এক আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে। 
*হামযাহ্‌(ء)-বাংলা ‘য’ এর সাথে আকার দিয়ে পরে ‘হ’ হসন্ত যোগ হবে।
*য়া(ي)- চার আলিফ পরিমাণ লম্বা হবে।
 
 

তাজওয়ীদ – Tajwid । মদের প্রকার । নুন ।সাকিন ও তানভীনের কায়দা এবং র হরফ পড়ার নিয়ম।

 

Tajwid

 

Makhraz

Makhraz

 

প্রশ্নঃ মাখরাজ কাকে বলে এবং তা কয়টি?


উত্তরঃ হরফ উচ্চারণের স্থানকে মাখরাজ বলে। আরবী হরফ ২৯টি, আর হরফ উচ্চারণের স্থাণ তথা মাখরাজ ১৭টি।

উচ্চারণ এর স্থান ৩টি
১. ঠোট
২.মুখের ভিতর
৩.কণ্ঠ নালী (হলক)

১ নাম্বার মাখরাজ: হলকের শুরু হতে -হামযা ,হা ء – ٥


২ নাম্বার মাখরাজ: হলকের মধ্যখান হতে- আইন , হা ع- ح


৩নং মাখরাজ: হলকের শেষ হতে-গঈন-খ’ غ-خ


৪ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার গোড়া তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে-কফ-ق


৫ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার গোড়া হতে একটু আগে বাড়িয়ে তার বরাবর ওপরের তালুর সঙ্গে লাগাইয়া-কাফ -ك


৬ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার মধ্যখান তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগাইয়া-ইয়া, শিন, জিমঃ ي-ش-ج


৭ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার গোড়ার কিনারা, উপরের মাড়ির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগাইয়া-দোয়াদঃ ض


৮ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগার কিনারা, সামনের উপরের দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগাইয়া -লামঃ ل


৯ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগাইয়া -নূনঃ ن


১০ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগার পিঠ, তার বরাবর উপরের তালুর সঙ্গে লাগাইয়া -রাঃ ر


১১ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, সামনের উপরের দুই দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লাগাইয়া- তা, দাল, তোয়াঃ ت-د-ط


১২ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, সামনের নিচের, দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগাইয়া- যা, ছিন, সোয়াদঃ ز-س-ص

১৩ নাম্বার মাখরাজ: জিহবার আগা, সামনের উপরের দু্ই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগাইয়া- ছা, যাল, যোয়াঃ ث-ذ-ظ


১৪ নাম্বার মাখরাজ: নিচের ঠোঁটের পেট, সামনের উপরের, দুই দাঁতের আগার সঙ্গে লাগাইয়া-ফাঃ ف


১৫ নাম্বার মাখরাজ: দুই ঠোঁট হইতে, ওয়াও, বা, মিম উচ্চাারি হয় । (ওয়াও উচ্চারণের সময় দুই ঠোঁট গোল হবে): م-ب-و


১৬ নাম্বার মাখরাজ: মুখের খালি জায়গা হইতে, মদের হরফ উচ্চারিত হয়। মাদ্দের হরফ তিনটি। ওয়াও, আলিফ ও ইয়া। যবরের বাম পাশে খালি আলিফ, পেশের বাম পাশে জযমওয়ালা ওয়াও এবং জেরের বাম পাশে জযমওয়ালা ইয়া। মাদ্দের হরফ এক আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমন- با-بُؤْ-بِئ

(অবশ্য তিন আলিফ ও চার আলিফ মদ ও আছে। তবে সেগুলোর নিয়ম ভিন্ন যা আমরা মদের আলোচনায় পরে দেখব। ইনশা’আল্লা্হ)


১৭ নাম্বার মাখরাজ: নাকের বাঁশী হইতে গুন্নাহ উচ্চারিত হয়। -আন্না, ইন্না, আম্মা ইত্যাদি। اِنَّ-اَنَّ-اَمَّ

 

Murakkab

Murakkab

Murakkab

মাদ্দ শিক্ষা | Madd (সহীহ কুরআন শিক্ষা) – তাজওয়ীদ- Tajwid

Types of Madd

Types of Madd

Types of Madd

 
মাদ্দ অর্থ কি ? (Maad Meaning )

মাদ্দ অর্থ দীর্ঘ করা বা লম্বা করা। পরিভাষায় টেনে বা দীর্ঘ করে পড়াকে মাদ্দ বলে।
 
মাদ্দ এর হরফ কয়টি ও কি কি?(Madd Letters)

মাদ্দের হরফ তিনটি। যেমনঃ ( ا, و , ى )

মাদ্দ কত প্রকার ও কি কি? (Types of Madd)



মাদ্দ মোট ১০ প্রকার। ( তাজওয়ীদ- Tajwid)


এক আলিফ মাদ্দ তিন প্রকার। যথাঃ
(১) মাদ্দে তবায়ী (Madd E Tabee’ee)
(২) মাদ্দে বদল (Madd E Badal )
(৩) মাদ্দে লীন (Madd E Leen)
তিন আলিফ মাদ্দ দুই প্রকার। যথাঃ
(৪) মাদ্দে আরেজী (Madd E Aaridh)
(৫) মাদ্দে মুনফাসিল (Madd E Munfasil)
চার আলিফ মাদ্দ পাঁচ প্রকার। যথাঃ
(৬) মাদ্দে মুত্তাসিল (Madd E Muttasil)
(৭) মাদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল (Madd E Laazim Kalimi Muthaqqal)
(৮) মাদ্দে লাযিম কালমী মুখাফ্‌ফাফ (Madd E Laazim Kalimi Mukhaffaf)
(৯) মাদ্দে লাযিম হরফী মুসাক্কাল (Madd E Laazim Harfi Muthaqqal)
(১০) মাদ্দে লাযিম হরফী মুখাফ্‌ফাফ (Madd E Laazim Harfi Mukhaffaf)

এক আলিফ মাদ্দ


এক আলিফ মাদ্দ কত প্রকার?

এক আলিফ মাদ্দ তিন প্রকার। যথাঃ
(১) মাদ্দে তবায়ী (Madd Tabee’ee)
(২) মাদ্দে বদল (Madd Badal )
(৩) মাদ্দে লীন (Madd Leen)

মাদ্দে তবায়ী কাকে বলে?

যবরের বাম পাশে খালি আলিফ (ا), যেরের বাম পাশে যযম ওয়ালা ইয়া (يْ), পেশের বাম পাশে যযম ওয়ালা ওয়াও (وْ) হলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়, তাকে মাদ্দে তবায়ী বলে বা মাদ্দে আছলী বলে। (madd asli meaning)
যেমনঃ( بَا, بِيْ , بُوْ )

আবার খাড়া যবর ( ٰ ), খাড়া যের ( ٖ ), উল্টা পেশ ( ٗ ) থাকলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়। যেমনঃ ( قٰلَ, بِهٖ, لَهٗ )

মাদ্দে বদল কাকে বলে?

মাদ্দের হরফের পূর্বে “হামযাহ” আসলে এক আলিফ টেনে পড়তে হয়, ইহাকে মাদ্দে বদল বলে।আবার হামযায় খাড়া যবর ( ٰ ), খাড়া যের ( ٖ ), উল্টা পেশ ( ٗ ) হলে তাকেও মাদ্দে বদল বলে । যেমনঃ

 
١ِيمَانََا
١ُوْمِنَ
١ٰمَنَ
١ٰمِيْنُٗ
١ٖلٰفِ
١ُوْتِيَ
 

লীনের হরফ শিক্ষা

লীনের হরফ কয়টি?

লীনের হরফ ২টি।যথাঃ
যবর এর বাম পাশে যযম ওয়ালা ওয়াও (وْ
যবর এর বাম পাশে যযম ওয়ালা ইয়া (يْ)

মাদ্দে লীন কাকে বলে?

ওয়াও সাকিন অথবা ইয়া সাকিন এর পূর্বে যবর হলে এবং পরবর্তী হরফে ওয়াক্‌ফ (নিঃশ্বাস ও আওয়াজকে শেষ করে পড়ার নাম ওয়াক্‌ফ)  করলে  এক আলিফ টেনে পড়তে হয় , ইহাকে মাদ্দে লীন বলে। যেমনঃ خَوْفُٗ , بَيْتُٗ

এক আলিফ পরিমাণ লম্বা বলতে কতটুকু বোঝায়?

দুটি হরকত পড়তে যতোটুকু সময় লাগে এক আলিফ টেনে পড়তে ততোটুকু সময় লাগে।আবার , একটি আংগুল স্বাভাবিক গতিতে বন্ধ থেকে খুলে সোজা করতে যে সময় লাগে সেই সময় পরিমান হচ্ছে এক আলিফ।

তিন আলিফ মাদ্দ

 
তিন আলিফ মাদ্দ কত প্রকার?
 
তিন আলিফ মাদ্দ দুই প্রকার। যথাঃ
(১) মাদ্দে আরেজী (Madd Aaridh)
(২) মাদ্দে মুনফাসিল (Madd Munfasil)
 
 

মাদ্দে আরেজী কাকে বলে?

 

মাদ্দের হরফের পরে ওয়াক্‌ফ করলে এবং পরবর্তী হরফটি অস্থায়ী সাকিন হলে তিন আলিফ টেনে পড়তে হয়। ইহাকে মাদ্দে আরেজী বলে। যেমনঃ يَعْلَمُوْنَ , حِسَابُٗ

মাদ্দে মুনফাসিল কাকে বলে?
 

মাদ্দের হরফের  বাম পাশে আলিফের ছুরতে হামযাহ আসলে তাকে মাদ্দে মুনফাসিল বলে। ইহাকে তিন আলিফ লম্বা করে পড়তে হয়।যেমনঃ لَآاِلٰهَ اِلَّااللّٰهُ

 

চার আলিফ মাদ্দ


চার আলিফ মাদ্দ কত প্রকার?
 
চার আলিফ মাদ্দ পাঁচ প্রকার। যথাঃ
(১) মাদ্দে লাযিম  হারফী মুখাফ্‌ফাফ (Madd Laazim Harfi Mukhaffaf)
(২) মাদ্দে লাযিম হারফী মুসাক্কাল (Madd Laazim Harfi Muthaqqal)
(৩) মাদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল (Madd Laazim Kalimi Muthaqqal)
(৪) মাদ্দে লাযিম কালমী মুখাফ্‌ফাফ (Madd Laazim Kalimi Mukhaffaf)
(৫)  মাদ্দে  মুত্তাসিল  (Madd Muttasil)
 
 
 
মাদ্দে লাযিম হারফী মুখাফ্‌ফাফ কাকে বলে?

কোন শব্দ বা কালিমা ব্যতীত শুধু হরফের মধ্যে মাদ্দের হরফের পর যজম যুক্ত সাকিন আসলে চার আলিফ টেনে পড়তে হয়, ইহাকে মাদ্দে লাযিম হারফী মুখাফ্‌ফাফ বলে।যেমনঃ عٓسٓقٓ, قٓ, نٓ 
 
মাদ্দে লাযিম হারফী মুসাক্কাল কাকে বলে?

কোনো শব্দ বা কালিমা ব্যতীত শুধু হরফের মধ্যে মাদ্দের হরফের পর তাশদীদ যুক্ত সাকিন আসলে চার আলিফ টেনে পড়তে হয়, ইহাকে মাদ্দে লাযিম হারফী মুসাক্কাল বলে।যেমনঃ الٓمّٓ , طٰسٓمّٓ
 
মাদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল কাকে বলে?

একই শব্দে মাদ্দের হরফের পরে তাশদীদ যুক্ত হরফ আসলে চার আলিফ টেনে পড়তে হয়, ইহাকে মাদ্দে লাযিম কালমী মুসাক্কাল বলে।যেমনঃ ضَآلََّا, دَآبَّةِ

মাদ্দে লাযিম কালমী মুখাফ্‌ফাফ কাকে বলে?

একই শব্দে মাদ্দের হরফের পরে যজম যুক্ত হরফ আসলে চার আলিফ টেনে পড়তে হয়, ইহাকে মাদ্দে লাযিম কালমী মুখাফ্‌ফাফ বলে।যেমনঃ اٰلْٓئٰنَ , اٰلْٓاٰنَ

মাদ্দে মুত্তাসিল কাকে বলে?

মদের হরফের পরে একই শব্দে হামযাহ্‌  আসলে চার আলিফ টেনে পড়তে হয়, ইহাকে মাদ্দে মুত্তাসিল বলে। যেমনঃ جَآءَ, سَوَآءُٗ
 

 

কলকলার হরফ -তাজওয়ীদ- Tajwid

jojom ba qolqolar horof

কলকলা কি?

কলকলা অর্থ আওয়াজের মধ্যে কম্পন সৃষ্টি হওয়া, প্রতিধ্বনি হওয়া।আপনি যদি কোন বন্ধ রুমে  কথা বলেন তাহলে দেখা যাবে সেই কথাটি প্রতিধ্বনি হয়ে আবার আপনার কাছে ফিরে আসবে, এই  প্রতিধ্বনিই হলো কলকলা।কলকলার হরফ ধাক্কা দিয়ে পড়তে হয়।(Qalqalah meaning)

কলকলার হরফ কয়টি?

কলকলার হরফ ৫টি। যথা- ق، ط، ب، ج، د (qalqalah letters in quran)

এই  ৫ টি হরফে যজম বা সাকিন হলে কলকলা করে পড়তে হয়।

যেসব ক্ষেত্রে কলকলা করতে হবে-

★কলকলার হরফে যজম বা সাকিন থাকলে।

★কলকলার হরফের আগের হরফে যবর, যের ও পেশ অর্থাৎ হরকত থাকলে। (সহীহ কুরআন শিক্ষা পদ্ধতি)

★কলকলার হরফের আগের হরফে যদি হরকত না থেকে অন্যকিছু থাকে অর্থাৎ দুই যবর, দুই যের বা দুই পেশ  থাকে তাহলে তা কলকলা করে পড়া  যাবে না। 

লক্ষণীয় যে, সব জায়গায় এই কম্পনের  মাত্রা এক রকম হয় না। অর্থাৎ  যদি আয়াতের মধ্যে কলকলার হরফে যজম বা সাকিন  হয় তাহলে কলকলার মাত্রাটা একটু ছোট হবে।আবার যখন আয়াতের শেষে কলকলার হরফে যজম বা সাকিন হলে  কলকলার মাত্রা  অনেক বড় হবে।(সহজ কুরআন শিক্ষা)

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )

 

তাশদীদ

 

গুন্নাহ কত প্রকার?(Types of Ghunnah) – তাজওয়ীদ- Tajwid

Tasdid o Wajib Gummah

 

কুরআন শরীফে তিন প্রকারের গুন্নাহ আছে। যথা-

১। ওয়াজিব গুন্নাহ

২। নূনে সাকিন ও তানভীনের গুন্নাহ 

৩। মীমে সাকিনের গুন্নাহ

আজ আমরা ওয়াজিব গুন্নাহ সম্পর্কে জানবো। পরবর্তীতে নূনে সাকিন ও তানভীনের গুন্নাহ এবং মীমে সাকিনের গুন্নাহ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

ওয়াজিব গুন্নাহ কাকে বলে? (What is Wajib Ghunnah)

হরকতের বাম পাশে মীমে (مّ) বা নূনে(نّ) তাশদীদ  হলে তাকে ওয়াজিব গুন্নাহ বলে। গুন্নাহ এক আলিফ পরিমাণ লম্বা  করতে হয়।

ওয়াজিব গুন্নাহ কয়টি ও কি কি? 

ওয়াজিব গুন্নাহর হরফ হচ্ছে দুইটি।যথা-  মীম(م)   নূন(ن) । এই দুইটি হরফের উপর তাশদীদ আসলে মীম(م) এবং  নূন(ن)  কে গুন্নাহ করে পড়তে হয়। যেমনঃ  اَنَّ-اِنّ-اُنَّ / اَمَّ- اَمِّ-اَمُّ

ওয়াজিব গুন্নাহওয়ালা লফজের মাশ্‌ক

 

ওয়াজিব গুন্নাহওয়ালা লফজের মাশ্‌ক

 

নুন সাকিন ও তানভীনের কায়দা – তাজওয়ীদ- Tajwid

তাশদীদ

 

 

প্রশ্ন:- নুন সাকিন কাকে বলে?

উত্তর:- নূন সাকিন: [ ‫نْ‬ ] জযমযুক্ত নূনকে নূন সাকিন বলা হয়, অর্থাৎ যে নূনের ওপর জযম [ ٨ ٫] থাকে তাকে নূন সাকিন বলে।

যথা-اَنْ – اِنْ -اُنْ

প্রশ্ন:- তানভীন কাকে বলে?

উত্তর দুই যবর, দুই যের,  দুই পেশকে তানভীন বলে।

যথা:- بً – بٍ – بٌ

প্রশ্ন:- নুন সাকিন ও তানভীন কয় নিয়মে পড়িতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন ও তানভীন চার নিয়মে পড়িতে হয়। যেমন:- (১) ইযহার (২) ইক্বলাব (৩) ইদগাম (৪) ইখফা।

প্রশ্ন:- ইযহার অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইযহার অর্থ স্পষ্ট করিয়া পড়া। ইযহারের হরফ ৬টি। যথা-: ء – ه – ع – ح – غ – خ

প্রশ্ন:- ইযহার কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পর ইযহারের ৬টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে, উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করিয়া পড়া।

যথা:- اَنْعمت – عليمٌ خببر ‫اَجْرٌ غَيْرٌ‬ = وَ انْحَرْ = ‫مِنْ عَمَلٍ‬ = مِنْهُمْ = ‫كُفُوًا اَحَدٌ‬ ‫

প্রশ্ন:- ইক্বলাব অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইক্বলাব অর্থ পরিবর্তন করিয়া পড়া। ইক্বলাবের হরফ একটি যথা:- ب

প্রশ্ন:- ইক্বলাব কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ب হরফ টি আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে ছোট মীম দ্বারা পরিবর্তন করে গুন্নাহ ও ইখফার সাথে পড়িতে হয়।

যথা:- من بعد – سميع بصير ‫مِنْ بَعْدِ‬=مِنۢ بَعْدِ= قَوْمًۢا بَعْدِ – خَبِيرٌۢ بِمَا – حَدِيثٍۭ بَعْدَهُ للَّهُٱنۢبِعَا-‫اَنْبِيَاءُ – اَلِيْمٌ بِمَا‬ – ٱنۢبِعَا

প্রশ্ন:- ইদগাম অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইদগাম অর্থ মিলাইয়া পড়া। ইদগামের হরফ ৬টি। যথা:- ي – ر – م – ل – و – ن

প্রশ্ন:- ইদগাম কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইদগামের ৬টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে মিলাইয়া পড়িতে হয়।

যথা:- منْ يفعل – منْ ربك

প্রশ্ন:- ইদগাম কত প্রকার ও কি কি?

উত্তর:- ইদগাম দুই প্রকার- (১) ইদগামে বা-গুন্নাহ (২) ইদগামে বে-গুন্নাহ।

প্রশ্ন:- ইদগামে বা-গুন্নাহ অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

ইদগামে বা- গুন্নাহ অর্থ গুন্নার সহিত মিলাইয়া পড়া। ইদাগামে বা- গুন্নার হরফ ৪টি। যথা:- ي – و – م – ن

প্রশ্ন:- ইদগামে বা-গুন্নাহ কখন করিতে হয়?

নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইদগামে বা-গুন্নার ৪টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নার সহিত মিলাইয়া পড়িতে হয়।

যথা:- منْ يفعل – قومٌ مسرفون ‫مَنْ يَّشَۤاءُ‬ – [ ي ] ‫نَفْسٍ وَّمَا‬- [ و ]‫ ‬ ‫رَسُوْلٌ ‬مِّنْ -[ م ] مِنْ نِّسَۤاءِ – [ن]‫

প্রশ্ন:- ইদগামে বে-গুন্নাহ অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইদগামে বে-গুন্নাহ অর্থ গুন্নাহ ছাড়া মিলাইয়া পড়া। ইদগামে বে-গুন্নার হরফ ২টি। যথা:- ر – ل

প্রশ্ন:- ইদগামে বে-গুন্নাহ কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইদগামে বে-গুন্নার ২টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নাহ ছাড়া মিলাইয়া পড়িতে হয়।

যথা:- رزقاًلكم – منْ ربك غَفُورٌ رَّحِيمٌ – مِّنْ رَّبٍّ رَّحِيمٍ

প্রশ্ন:- ইখফা অর্থ কি? ইহার হরফ কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- ইখফা অর্থ নাকের বাশিতে আওয়াজকে লুকাইয়া পড়া। ইখফার হরফ ১৫ টি।

যথা:-ت – ث – ج – د – ذ – ز – س – ش – ص – ض – ط – ظ – ف – ق – ك

প্রশ্ন:- ইখফা কখন করিতে হয়?

উত্তর:- নুন সাকিন বা তানভীনের পরে ইখফার ১৫টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ আসিলে, উক্ত নুন সাকিন বা তানভীনকে গুন্নার সহিত নাকের বাশিতে লুকাইয়া পড়িতে হয়।

যথা:- لنْ تفعلو – خيرً كثير
‎ ‫مِنْ قَبْلِكَ‬ ‫O‬ ‫مِنْ شَرِّO‬ ‫ اَنْتُمْ O‬ ‫لِتُنْذِرَ O‬ ‫اُنْزِلَ‬ ‫O‬ ‫ كُنْتُمْ‬ ‫ O‬ ‫اَنْتُمْ ضلٰلٍ كَبِيْرٍ O‬ ‫شَىْءٍ قَدِيْرٌ O‬ ‫سَمٰوَاتٍ طِبَاقًا O‬ ‫نَارًا ذَاتَ O‬ إِطْعَامٌ فِي ‫O‬

কিছু আয়াতের মধ্যে ইখফার উদাহরণ লক্ষ্য করিঃ — ‎يَوْمًا لَّا تَجْزِي نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْئًا‎لِمَن شَاءَ مِنْكُمْ أَن يَسْتَقِيمَ‎أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ‎وَاسْأَلْ مَنْ أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ ‎الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّنْ جُوعٍ [সূরা কুরাইশ] ‎وَلَا أَنْتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ [সূরা কাফিরুন]

 

মীম সাকিন। Meem Saakin

 

মীম সাকিন শিক্ষা – তাজওয়ীদ- Tajwid


মীম সাকিন কাকে বলে?( Meem Saakin Definition)
জযমযুক্ত মীমকে( م ) মীম সাকিন বলে।অর্থাৎ যে মীমের ওপর জযম ( ٨ ٫) থাকে তাকে মীম সাকিন বলে।

মীম সাকিন তিন প্রকার।(meem saakin rules)

যথা-

 

(১) ইদগাম 
(২) ইখফা
(৩) ইযহার

 

  • ইদগামের  হরফ একটি : م
  • ইখফার হরফ একটি : ب
  • ইযহারের হরফ ছাব্বিশটি : م এবং ب ব্যতীত বাকি সবগুলি।

ইদগাম  (বাগুন্নাহ)

মীম সাকিনের পরে ইদগামের  হরফ “মীম (م)” আসলে প্রথম মীমটিকে দ্বিতীয় মীমটির সঙ্গে সংযুক্ত করে গুন্নাহ করে পড়তে হয়।যেমন- وَهُمْمُّهْتَدُوْنَ 

এখানে মীম সাকিনের পরে ইদগামের  হরফ মীম (م) আসায় মীম সাকিনকে ইদগাম করে  গুন্নাহ সহকারে পড়তে হবে। যেমন- ওয়াহুম-মুহতাদূনা।

ইখফা

মীম সাকিনের পরে ইখফার  হরফ “বা(ب )” আসলে মীম সাকিনকে নাকের বাঁশিতে গোপন করে  গুন্নাহর সাথে পড়তে হয়।যেমন- وَمَاهُمْ بِمُواْمِنِيْنَ

 মীম সাকিনের পরে ইখফার  হরফ বা(ب ) আসায় মীম সাকিনকে নাকের বাঁশিতে গোপন করে  গুন্নাহর সাথে পড়তে হবে। যেমন- ওয়ামাহুম-বিমু’মিনীনা।



 ইযহার

ইযহারের হরফ ছাব্বিশটি।যথাঃ

 

ইযহারের হরফ

 

মীম সাকিনের পরে ইযহারের ২৬ হরফের  কোনো একটি হরফ আসলে মীম সাকিনকে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করে পড়তে হয়।যেমন- عَلَيْهِمْ وَلَاا لضَّآلِّيْنَ


মীম সাকিনের পরে ইযহারের ২৬ হরফের এক হরফ ওয়াও (و) আসায় মীম সাকিনকে গুন্নাহ ছাড়া স্পষ্ট করে পড়তে হবে। যেমন-আলাইহিম ওয়ালাদ্‌দ_ল্‌লীনা।

 

Rules to Read Allahs Name

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

রা অক্ষর পুর (মোটা ) বারিক ( পাতলা ) পড়ার নিয়ম। – তাজওয়ীদ- Tajwid

rules of ro horof

rules of ro horof

প্রশ্ন:- রা অক্ষরটি পড়িবার নিয়ম কয়টি ও কি কি?

উত্তর:- রা অক্ষর পড়িবার নিয়ম ২টি। (১) পুর (২) বারিক।

প্রশ্ন:- রা কোন সময় পুর করিয়া পড়িতে হয়?

উত্তর:- রা, ৭ অবস্থায় পুর করিয়া পড়িতে হয়।

(১) রা, এর উপর যবর হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- – رَفع

(২) রা, এর উপর পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- رُقود

(৩) রা, সাকিন তার আগের হরফে যবর হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- مَرْيم

(৪) রা, সাকিন তার আগের হরফে পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- اُرْكسو

(৫) রা, সাকিন তার আগের হরফে অস্থায়ী যের হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- من ارْتضي – اِنِ ارْتبتم

(৬) রা, সাকিন তার আগের হরফে যের হইলে এবং পরে ইস্তে,আলার ৭টি হরফ হইতে কোন একটি হরফ একই শব্দে আসিলে পুর করিয়া পড়িতে হয়।

যথা:- قِرْطاس – مِرْصاد

ইস্তে,আলার হরফ ৭টি এই:- خص ضغط قظ

(৭) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন তার আগের অক্ষরে যবর বা পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয় এবং রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন ও তার আগের অক্ষরও সাকিন,

এর আগের অক্ষরে যবর বা পেশ হইলে পুর করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- ★انهَرُ★نُفُرُ★ قَدْرِ★صُدُوْرِ

প্রশ্ন:- রা, কোন সময় বারিক করিয়া পড়িতে হয়?

উত্তর:- ৫ অবস্থায় রা, বারিক করিয়া পড়িতে হয়।

(১) রা, এর নীচে যের হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- رِجال

(২) রা, সাকিন তার আগের হরফে যের হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:-مِرْية

(৩) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন এবং তার আগের অক্ষরে যের হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- مدكر

(৪) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন, এর আগের অক্ষর সাকিন এবং তার আগের অক্ষরে যের হইলে রা, বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- ذِي الذِّكْرِ

(৫) রা, ওয়াক্বফ অবস্থায় সাকিন তার আগের অক্ষর ইয়া সাকিন হইলে বারিক করিয়া পড়িতে হয়। যথা:- خبيْرً – سيْرُ

 

Sifater Poricoy

Sifater Poricoy

Sifater Poricoy

Sifater Poricoy

 

আলিফ জা’ইদাহ্ এবং আনাবা, আনাবু, আনামিলা আনাসিয়া’র নিয়মঃ -তাজওয়ীদ- Tajwid

Alife Jayedah

 

আলিফ জা’ইদাহ্ঃ আরবী বর্ণে কোনটার উপর গোল চিহ্ন থাকলে, এবং তার বাম পাশে ছোট কিম্বা গোল হামজাহ থাকলে তাহা টেনে পড়া যাবে না।
বি: দ্র: أَنَا [চারটি শব্দ টানতে হবে …যথা:

১। আনাবা (‘না’ এক আলিফ টানতে হবে)

২। আনাবু

৩। আনামিলা

৪। আনাসিই’য়া ।

বি: দ্র: এই চারটি শব্দে ‘না’ এক আলিফ টানতে হবে। কারন এগুলা আলিফ জাইদাহ্ এর আলিফ না, আনা শব্দের আলিফ না।]

 

Islami Dawah Center Cover photo

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( বি এ & এম. এ. ইন ইংলিশ )

 

ওয়াক্বফ করা বা থামার নিয়ম | Stopping Rules In Quran (সহীহ কুরআন শিক্ষা )

ওয়াক্বফ । WAQF

ওয়াক্বফ কাকে বলে? 

আয়াতের শেষে বা কোন চিহ্নের জায়গায় থেমে যাওয়া অথবা নিঃশ্বাস শেষ হয়ে গেলে যেখানে থামতে হয় সেই পদ্ধতিকে ওয়াক্বফ বলে। ওয়াক্বফ আরবি শব্দ যার অর্থ হলো তেলাওয়াতে থামা বা বিরতি গ্রহণ করা।কুরআনুল কারীমে আয়াতের শেষে কিছু সুনির্দিষ্ট চিহ্ন রয়েছে যেগুলো আমাদের আয়াতের শেষে থামা বা না থামার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে থাকে।(types of waqf in quran)

কোথায় ওয়াক্বফ করব

(۝) এটা আয়াত চিহ্নঃ যেখানে আয়াত শেষ হয়, সেখানে গোলাকৃতি এ ধরনের চিহ্ন বসানো হয়। একে “ওয়াক্বফে তাম” বলে। এ ওয়াক্বফের স্থানে অবশ্যই থামতে হবে, নতুবা অর্থের বিকৃতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ চিহ্নের উপর যদি অন্য কোন রকমের আর একটি চিহ্ন থাকে যেমনঃ  তবে এ চিহ্ন অনুযায়ী আমল করতে হবে।

()  এটা ওয়াক্বফে লাযেম চিহ্নঃ এ ধরণের চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্বফ না করলে বিপরীত অর্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এরকম চিহ্নিত স্থানে অবশ্যই থামতে হবে।

(ط) এটা ওয়াক্বফে মুত্বলাকের চিহ্নঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্বফ করা না করা উভয়ই জায়েজ, তবে ওয়াক্বফ করা ভাল।(stopping signs in quran)

টা ওয়াক্বফে মুজাওয়াযের চিহ্নঃ এ রকম স্থানে ওয়াক্বফ করা না করা উভয় জায়েজ। তবে ওয়াক্বফ না করা উত্তম।

(ص)  এটা ওয়াক্বফে মুরাখখাছ এর চিহ্নঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্বফ না করে মিলিয়ে পড়া জরুরী। কিন্তু নিঃশ্বাস শেষ হয়ে গেলে  ওয়াক্বফ করার অনুমতি আছে।(quran punctuation symbols)

(قف ) এটা ওয়াক্বফে আমর চিহ্নঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্বফ করার নির্দেশ করে।

(ق)  এটা কীলা আলাইহি  ওয়াক্বফ এর সংক্ষেপঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্বফ করা উচিত নয়।

(لا) এটা লা-ওয়াক্বফা আলাইহি এর চিহ্নঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে ওয়াক্বফ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(صل) এটা ক্বাদ  ইউছালু ওয়াক্বফের চিহ্নঃ এ রকম  স্থানে ওয়াক্বফ  না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(ﺼﻠﮯ) এটা ওয়াছলে আওলা এর চিহ্নঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে মিলিয়ে পড়া ভাল। তবে ওয়াক্বফ করলে অসুবিধা হয় না।(tajweed symbols in quran)

(سكته) এটা সাকতার চিহ্নঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে স্বর ভঙ্গ করতে হয়, নিঃশ্বাস ভঙ্গ করতে হয় না।

(وقفة) এটা লম্বা সাকতার আলামতঃ এ রকম চিহ্নিত স্থানে সাকতার মত এমন ভাবে পাঠ করবে যেন ওয়াক্বফের অধিক নিকটবর্তী হয়। কিন্তু  নিঃশ্বাস ছাড়বেনা।

() এটা মুয়া’নাকার চিহ্নঃ এ রকম চিহ্ন শব্দ বা বাক্যের ডানে ও বামে দুই পার্শ্বে আসে, পড়ার সময় প্রথম জায়গায় ওয়াক্বফ করলে দ্বিতীয় জায়গায় মিলিয়ে পড়তে হয়। অথবা দ্বিতীয় জায়গায় ওয়াক্বফ করলে প্রথম স্থানে মিলিয়ে পড়তে হয়।(quran stop signs)

মনে রাখতে হবে, لا যদি আয়াতের মাঝে হয় থাহলে থামা যাবেনা কিন্তু আয়াতের শেষে لا হলে থামা যাবে।আয়াতের শেষে যে ع থাকে সেটা ওয়াক্বফের চিহ্ন নয় বরং রুকুর চিহ্ন।

কিভাবে ওয়াক্বফ করব

ওয়াক্বফ করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে শেষ অক্ষরে কি চিহ্ন আছে। যদি-

(১) ওয়াক্বফের হরফে এক যবর ( َ ), এক যের ( ِ ), এক পেশ ( ُ ),দুই যের ( ٍ  ),দুই পেশ ( ٌ ),খাড়া যের ( ٖ ) ও উল্টো পেশ ( ٗ ) থাকলে সেই হরফকে সাকিন ( ْ ) দিয়ে পড়তে হয়।যেমনঃ 

এক যবর ( َ ) خَلَقْ مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَ
এক যের ( ِ ) الۡفَلَقْ قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِ
এক পেশ ( ُ ) الصَّمَدْ اَللّٰہُ الصَّمَدُ
দুই যের ( ٍ   ) شَہۡرْ لَیۡلَۃُ الۡقَدۡرِ ۬ۙ  خَیۡرٌ مِّنۡ اَلۡفِ شَہۡرٍ
দুই পেশ ( ٌ ) اَحَدْ قُلۡ ہُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ
খাড়া যের ( ٖ ) رَبِّهْ رَبِّهٖ
উল্টো পেশ ( ٗ ) رَبُّهْ رَبُّهٗ

 

(২) ওয়াক্বফের হরফে দুই যবর( ً  ) থাকলে এক যবর( َ ) পড়তে হবে,এক্ষেত্রে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে।যেমনঃ

দুই যবর( ً  ) اَفۡوَاجَا وَرَاَیۡتَ النَّاسَ یَدۡخُلُوۡنَ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اَفۡوَاجًا

 

(৩) ওয়াক্বফের হরফে খাড়া যবর( ٰ  ) থাকলে  এক আলিফ পরিমাণ টেনে খাড়া যবরই পড়তে হবে।যেমনঃ

খাড়া যবর( ٰ  ) طَغَىٰ اذْهَبْ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَىٰ

 

(৪) ওয়াক্বফের হরফে যদি সাকিন ( ْ ) থাকে তাহলে সাকিনই পড়তে হবে।যেমনঃ

সাকিন ( ْ ) كُوِّرَتْ إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ

(৫) গোল তা ( ة ) এর উপর ওয়াক্বফ করলে এটিকে হা ( ه )   পড়তে হবে।যেমনঃ

গোল তা ( ة ) الرَّادِفَه يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ – تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ

তা ( ة ) এর উপর এক যবর ( َ ), এক যের ( ِ ), এক পেশ ( ُ ),দুই যবর( ً  ),দুই যের ( ٍ  ),দুই পেশ ( ٌ ) থাকলেও ওয়াক্বফের সময় সাকিনই পড়তে হবে।

(৬) ওয়াক্বফের হরফে তাশদীদ ( ّ ) হলে সাকিন পড়তে হবে।যেমনঃ

তাশদীদ ( ّ ) الْمَفَرّ يَقُولُ الْإِنسَانُ يَوْمَئِذٍ أَيْنَ الْمَفَرُّ

 তাশদীদে দুই যবর( ً  ) হলে ওয়াক্বফের সময় মনে মনে খাড়া যবর( ٰ  ) ধরে পড়তে হবে।

(৭) লীনের হরফে ওয়াক্বফ করলে এক আলিফ টেনে পড়তে হবে।

(৮) এক আলিফ মাদ্দ থাকলে আয়াতের শেষে তিন আলিফ মাদ্দ পড়তে হয়।

(৯) শব্দের শেষে ক্বলকলাহর হরফ থাকলে ওয়াক্বফ করলে সাকিন করে সামান্য থাক্কা দিয়ে পড়তে হবে।