যাদুর জিনিশ ধ্বংস না করলে কি / Magic-Things-Should-Be-Destroyed যাদু থেকে মুক্ত হওয়া যায় না?

 

Magic-Things-Should-Be-Destroyed

 

 

যাদুর জিনিশ ধ্বংস না করলে কি / Magic-Things-Should-Be-Destroyed যাদু থেকে মুক্ত হওয়া যায় না?

সমাজে প্রচলিত ভুল ধারনাগুলোর মাঝে এটাও একটা। যা স্পষ্ট হাদিসের বিরোধী, ইসলামি আক্বিদার বিরোধী। রুকইয়া বিষয়ে যেকোন কিছু শিখার আগে এই ঈমান ঠিক করে নেয়া আবশ্যক “আল্লাহ তা’আলা সকল সীমাবদ্ধতার উর্দ্ধে, তিনি চাইলে সবকিছু সম্ভব।” আপনার মনে হতে পারে “আল্লাহ চাইলেই সব হয়” এটাতো সবাই বিশ্বাস করে। আমি বলব না! অধিকাংশ মানুষ এটা মুখে বলে, অথচ দিল থেকে বিশ্বাস করে না। এজন্যই আমাদের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে গেছে এসব কথা “যাদুর জিনিশ নষ্ট না করলে কিভাবে ভালো হবে?” “কুফরি কাটাতে তো কুফরিই করা লাগবে” (নাউযুবিল্লাহ) এই শয়তান কবিরাজরা আমাদের ঈমানের কি অবস্থা বানাইছে চিন্তা করেন।

ভাই! আমরা আগে এই আকিদা সহিহ করে নেই, আল্লাহ চাইলেই যাদু নষ্ট হয়ে যাবে, আল্লাহ কোন মাখলুকের মুখাপেক্ষী না। ঠিকমত রুকইয়াহ করলে আর দোয়া করতে থাকলে আল্লাহ অবশ্যই যাদু ধ্বংস করে দিবেন, এটা ফাঁকা বুলি না, বরং নিজের চোখে দেখা একাধিক অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। তবে হ্যাঁ!

এটা সত্য যে, যাদুর জিনিশ যদি পাওয়া যায় আর সেসব ধ্বংস করা হয়, তবে যাদু খুব সহজেই ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু সেটা আমাদের নিজ হাতেই নষ্ট করা লাগবে, এমনি রুকইয়া করলে বা দোয়া করলে আল্লাহ নষ্ট করে দিবে না, এটা কোরআন হাদিস বিরোধী আক্বিদা। রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘটনাই চিন্তা করেন, হাদিসের একদম শেষ অংশে দেখা যায় – আয়েশা রা. জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি কি সেগুলো (কুঁপ থেকে) বের করবেন না? রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললে: না! আল্লাহ আমাকে আরোগ্য ও শিফাদান করেছেন। আমি এসব মানুষের মাঝে প্রকাশ করতে সংকোচবোধ করছি। এরপর নির্দেশ দিলেন যেন সেটা (কুয়া) মাটিচাপা দিয়ে দেয়া হয়।  [সহীহ বুখারী – ৫৩৫৪ ]

রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেই আল্লাহ সুস্থ করেছেন, সেই আল্লাহ এখনও আছে। তার ফেরেশতারা এখনও আছে। আপনি দোয়া করুন, শরঈ পন্থায় রুকইয়াহ করুন, আল্লাহই যাদু নষ্ট করে দিবেন। চাইলে আল্লাহ ফেরেশতা পাঠিয়ে সেসব ধ্বংস করবেন। যাদুর জিনিশ খুঁজে বের করতেই হবে, এটা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তার কিছু নাই।  

 

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

  • ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা ।
  • বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে।
  • এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )