Kasey Asar Sahosi Golpo A Conspiracy To Destroy The-Youth-কাছে আসার সাহসী গল্পঃ যুবসমাজকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র

——— শায়খ আহমাদুল্লাহ
প্রতিবছর আমাদের দেশে “ক্লোজ আপ কাছে আসার সাহসী গল্প” নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এটি আরম্ভ হয়। যুবক-যুবতীদেরকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসাহ দেয়া হয় যে, তোমরা তোমাদের অবৈধ ও হারাম সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের মাধ্যমে কৃত অসামাজিক কর্মকাণ্ডের গল্পগুলো বলো। তারা এসব গল্প থেকে বাছাইকৃত আকর্ষণীয় গল্পগুলো নিয়ে নাটক নির্মাণ করে টেলিভিশনে প্রচার করে। যুবকদেরকে তাদের কৃত অবৈধ ও হারাম কাজ প্রকাশ করার জন্য উৎসাহিত করা হয় এবং এর মাধ্যমে এই জাতীয় কাজগুলো করার জন্য অন্যদেরকে উস্কানি দেয়া হয়। এটি আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির জন্য মোটেই লাভজনক নয়, বরং ক্ষতিকর। ক্ষেত্রবিশেষ এটি ধর্ষণ, হত্যা, ভ্রুণহত্যা, আত্মহত্যা ও নানা রকম অনাচার বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তথাকথিত “কাছে আসার সাহসী গল্প” থেকেই অনেক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি নিহত অনুশকার ঘটনা এর বড় প্রমাণ; হারাম সম্পর্ক যাকে অনন্তের যাত্রী বানিয়ে ছেড়েছে। এটি স্রেফ উদাহরণ মাত্র। এরকম উদাহরণ দিতে চাইলে অসংখ্য দেয়া যাবে।
কাছে আসার সাহসী গল্পে কখনো দেখা যাবে না, মা-বাবার অবাধ্য সন্তান মা-বাবার নিকট ফিরে এসে বাধ্যগত হয়েছে, বড়ভাইয়ের সঙ্গে বৈরিতা পোষণকারী ছোটভাই নিজের ভুল বুঝতে পেরে একাত্ম হয়েছে; তদ্রুপ অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে ছিন্ন হওয়া সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছে।
এরা কাছে আসার কোন্ গল্পগুলো শোনায়? তারা কাছে আসার যে গল্পগুলো শোনায়, তা মূলত জাহান্নামের কাছে আসার গল্প। সেই কাছে আসা মানে মা-বাবা থেকে দূরে সরা, ভাই-বোন থেকে দূরে সরা, সমাজ থেকে দূরে সরা, জান্নাত থেকে দূরে সরা; কিন্তু জাহান্নামের নিকটবর্তী হওয়া।
মাত্র কয়েকদিন আগে আপনারা অনুশকা ও দিহানের ঘটনা শুনেছেন। একই ধরনের ঘটনা গাজীপুরের একটি রিসোর্টেও ঘটেছে। ঢাকার কোনো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে। মোদ্দাকথা, তথাকথিত কাছে আসার সাহসী গল্পের পরের গল্পটা কখনো সুখকর হয় না। এজন্য তারা পরের গল্পটা কখনো শোনায় না। যারা আমাদের যুবকদেরকে অধঃপতিত করতে চায়, বিপথগামী করতে চায়— তাদের বিরোদ্ধে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রিয় যুবক, হারাম তোমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে; শয়তান তোমার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে আছে। মনে রাখবে, বিয়ের আগে যারা তথাকথিত প্রেম-ভালোবাসায় লিপ্ত হয় বিবাহ-পরবর্তী পবিত্র জীবনের আসল আনন্দের স্বাদ থেকে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বঞ্চিত করেন। এজন্য সবাইকে বিবাহ-বহির্ভূত অবৈধ প্রেম-ভালোবাসার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। স্রোতের বিপরীতে চলা শিখতে হবে। আমরা যে কাছে আসার গল্প শোনাব, তা আল্লাহর কাছে আসার। আমি আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য মাদক ছেড়ে দিয়েছি, সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে দিয়েছি, হারাম সম্পর্ক ছিন্ন করেছি— আমরা এই জাতীয় গল্পগুলো শুনব ও শোনাব। আমরাও যুবকদেরকে বলব, তোমরাও কাছে আসার গল্প শোনাও— আল্লাহর কাছে আসার। শয়তানের দোসরদেরকে জানিয়ে দাও, আমরা শয়তানের কাছে আসার নয়; রহমানের কাছে আসার গল্প শোনাব। যে যুবক ধূমপান করতেন, তিনি ধূমপান ছেড়ে দেয়ার গল্প শোনাবেন; যিনি হারাম সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তিনি তা ছিন্ন করার গল্প শোনাবেন।
মুসলিম যুবকদের যে চেতনা থাকার কথা, যা ছিল আবদুল্লাহ বিন উমর রা.-এর মধ্যে, আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা.-এর মধ্যে, বিলাল রা.-এর মধ্যে, সুহায়ল রা.-এর মধ্যে, আম্মারের মধ্যে এবং অন্যান্য যুবক সাহাবীদের মধ্যে— সেই চেতনা যেন মুসলিম যুবকদের মধ্যে না থাকতে পারে, তাদের চেতনা যেন ভোঁতা হয়ে যায়, লুপ্ত হয়ে যায়— সেজন্য নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি তাদেরকে প্রেম-ভালোবাসায় আচ্ছন্ন রাখার জন্য নাটক-সিনেমা ও গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে প্ররোচিত করে। এসব মুসলিম যুবকদের জন্য কল্যাণকর তো নয়ই, বরং ক্ষতিকর— এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
“কাছে আসার সাহসী গল্প” আমাদের যুবসমাজকে নির্লজ্জ হতে প্ররোচিত করছে। একসময় মানুষ অসামাজিক কাজ করতে চাইলে একটু হলেও ভাবত, হারাম সম্পর্ক করার আগে একটু হলেও চিন্তা করত। কাছে আসার সাহসী গল্প যুবসমাজকে নির্লজ্জ ও দুঃসাহসী করে তুলেছে। এখন যুবকদের একটা অংশ বুক ফুলিয়ে নিজের নির্লজ্জতার গল্প প্রচার করে বেড়ায়। কীভাবে মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, অসামাজিক কাজ করে কীভাবে সমাজচ্যুত হয়েছে—এক শ্রেণীর যুবক তা অবলীলায় বলে বেড়ায়। এজন্য কাছে আসার সাহসী গল্পের উদ্যোক্তারা অনেকাংশে দায়ী। অপরাধ করার পর যদি মানুষের মধ্যে অপরাধবোধ না থাকে, তাহলে মানুষ অপরাধ থেকে সরে আসতে পারে না। অপরাধ করার পর অপরাধবোধে তাড়িত হওয়া মুমিনের আলামত। অপরাধবোধ লুপ্ত হয়ে যাওয়া ঈমানহারা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যদি তোমাকে তোমার কৃত পুণ্যকর্ম আনন্দ দেয় এবং পাপকর্ম পীড়া দেয়, তাহলে তুমি মুমিন।’ [১] দুঃখজনকভাবে আমাদের সমাজ থেকে ধীরে ধীরে অপরাধবোধ লুপ্ত হওয়ার পথে। কৌশলে অপরাধীর মন থেকে অপরাধবোধ সমূলে উৎপাটন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। অতএব এসবের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে।
প্রিয় যুবক ভাইদের প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, যৌবনকালে আল্লাহর জন্য কাজ করবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যৌবনের ইবাদত সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। রাসূল আকরাম সা. বলেছেন, কিয়ামতের দিন কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া ছাড়া নিজের পা নাড়াতে পারবে না। তন্মধ্যে একটি হলো, যৌবনকাল কীভাবে কাটিয়েছ, তার হিসাব। [২] যদি বলতে পারেন, আমি আমার যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছি, নামায পড়েছি, কুরআন তিলাওয়াত করেছি, হাদীস পড়েছি, মানুষের উপকার করেছি, মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করেছি, ভাই-বোনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেছি—তাহলে কিয়ামতের ভয়াবহ মুহূর্তে বিপদমুক্ত হতে পারবেন।
আজকের যুবসমাজ উচ্ছন্নে যাচ্ছে। যুবসমাজের একাংশ যেমন কল্যাণকর কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, সামাজিক কাজ করছেন; তেমনি যুবসমাজের আরেক অংশ উচ্ছন্নে যাচ্ছে, বিপথগামী হচ্ছে, বিভ্রান্ত হচ্ছে। এমনকি যুবকদের অনেকে মুরব্বিদের সম্মান করে না। রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মুরব্বিদের সম্মান করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ [৩]
যারা এদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করতে চায়, পরিবার-ব্যবস্থা বিনষ্ট করতে চায়, পরকীয়ার প্রসার চায়, সন্তানদেরকে মা-বাবার অবাধ্য বানাতে চায়, যুবকদের সমাজ-বিরোধী হওয়ার উস্কানি দেয়, অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়, ধর্ষণ ও হত্যা সহজ করতে চায়— তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে; তাদের অপচেষ্টা রুখে দিতে হবে। যারা এদেশে ব্যবসা করার পাশাপাশি এদেশে অশ্লীলতার বিস্তার করে, যুবসমাজকে সমাজত্যাগের উস্কানি দেয়, পরকীয়ায় উদ্বুদ্ধ করে—তাদের পণ্য বর্জন করা আমাদের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব।
ইউনিলিভার ও ক্লোজ আপ কর্তৃপক্ষকে বার্তা দিতে হবে যে, তোমরা যদি আমাদের সমাজ ধ্বংসের অপচেষ্টা করো, তাহলে আমরা তোমাদের পণ্য বর্জন করব। এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। তোমরা এদেশে ব্যবসা করছ, ভালো কথা। কিন্তু এদেশ থেকে পয়সা-কড়ি নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমাদের ঈমানও নিয়ে যাবে, আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংস করবে, আমাদের পরিবার-ব্যবস্থা ভেঙে দেবে, তোমাদের সমাজের মতো অশ্লীলতা আমাদের সমাজেও ছড়িয়ে দেবে— তা আমরা হতে দিতে পারি না।
ইউনিলিভার কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছি যে, তোমরা যদি অশ্লীলতা বিস্তারের কার্যক্রম বন্ধ না করো—তাহলে এদেশের উলামায়ে কিরাম তোমাদের পণ্য বর্জন করার ডাক দিতে বাধ্য হবেন। এদেশের প্রত্যেকটি মসজিদের মিম্বার থেকে ইউনিলিভার বর্জনের আওয়াজ ঘোষিত হবে ইন শা আল্লাহ।
———————————————————————————————————————————
[১] মুসনাদে আহমাদ-২১১৬৬; শুয়াবুল ঈমান-৫৩৬২।)
[২] সুনান তিরমিযী-২৪১৬; মুসনাদে আবি ইয়া’লা-৫২৭১; শুয়াবুল ঈমান-১৬৪৭।
[৩] মুসনাদে আহমাদ-৬৯৩৮।
অনুলিখন: আবুল কাসেম আদিল
আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
✅ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
✅ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
✅ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
✅ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
✅ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
✅ رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
✅رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
✅ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
✅ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
✅ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
✅ رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
✅ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
✅ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
✅ رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
✅ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
✅ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
✅ رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
✅ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
✅ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
✅ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
✅ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
✅ رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
✅ رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
✅ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
✅ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
✅ رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
✅ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।