জিনদের সাহায্য / Help-Of-Jinn নেয়া যাবে কি?

 

 

Help-Of-Jinn

 

 

 

জিনদের সাহায্য / Help-Of-Jinn নেয়া যাবে কি?

অনেক কবিরাজ আছে, যারা জিনদের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করে। আর শোনা যায় এসব কবিরাজদেরই ডিমান্ড বেশি! উম্মে আব্দুল্লাহর চিকিৎসার জন্য যখন বিভিন্ন যায়গায় খোজ করছিলাম, তখন কক্সবাজারের এক কবিরাজের খবর পেলাম, যে নাকি জিন দিয়ে চিকিৎসা করে। উনি ১০০টাকা নিলেন আর ‘রুগীর এবং মায়ের নাম’ নিয়ে টেস্ট করে বলেছিলেন – ২০ হাজার টাকা লাগবে! আমাকে যে লোক খোজ দিয়েছিল তাকে বললাম, উনি এত চাচ্ছেন কেন?

 

উত্তরটা ছিল লিখে রাখার মত – “আসলে এই হুজুরের সিস্টেমই এরকম। উনাকে জিনেরা বলেছে, আপনি যত বেশি টাকা নিবেন, ততবেশি উপকার হবে!!” কবিরাজদের এক গ্রুপ আছে, যারা নিজের নামের শেষ “শাজলী” যোগ করে। ওরা বলে “সাহাবি জিন” নাকি ওদের খেদমত করে। (কোন ফাইজলামি এটা আল্লাহই জানে) হাসবেন না প্লিজ.. এসব ভন্ডদের পিছেই মানুষ বেশি দৌড়ায়।

 

তো আমাকে জিনদের সাহায্য নেয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বলি – “ভাই আমিতো মুফতি না, তাই ফাতওয়া দিতে পারছি না। তবে আমার জানামতে জিনদের সাহায্য চাওয়া কখনও শুধু হারাম, কখনও এর সাথে শিরক, কখনও কুফর। এটা কিভাবে সাহায্য চাইছে, কিভাবে সাহায্য করছে এর ওপর নির্ভর করে।”

 

[খ] আজ চলুন কিছু চলুন দলিল দেখা যাক। হাদিসে এব্যাপারে কি আছে আমার জানা নাই, তবে কোরআনুল কারিমে দুইটা আয়াত পেয়েছি। প্রথম আয়াটি সবাই জানেন, সুরা জিনে আল্লাহ বলছেন – وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের অহংকার বাড়িয়ে দিত। (সুরা জিন, আয়াত ৬) এই আয়াতের আলোকে আলেমরা বলেন “জিনদের সাহায্য চাওয়া হারাম”। তবে স্বাভাবিকভাবেই শয়তান/জিনরা তো হুদাই আপনার কাজ করবে না। শয়তান বা জিনদের থেকে ফায়দা নিতে হলে, তাদের কথা অনুযায়ী স্যাটানিক রিচ্যুয়াল পালন করতে হয়, সেক্রিফাইস করতে হয়, আল্লাহর নামে না করে তাদের নামে পশু জবাই করতে হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনারা হয়তো অনেক কবিরাজকে দেখে থাকবেন, যারা বলে- গরু লাগবে, মুরগি লাগবে, ছাগল লাগবে। তাদের অনেকে নিজে এসব শয়তানের নামে বলি দেয়, আর অনেকে বলে “জবাই করার পর রক্তটা আমাকে দিয়েন।” তাঁরা এই রক্ত শয়তানের উপাসনায় ব্যবহার করে। যাদুবিদ্যায় বিভিন্ন মৃত প্রাণীর রক্ত ব্যবহার করা খুবই কমন ব্যাপার। ওহ আরেকটা কথা! আমরা শুনে থাকি, জিনেরা কবিরাজদের বিভিন্ন ক্ষতি করেছে। এটা করার বড় একটা কারণ হচ্ছে, এই বুঝাপড়ায় সমস্যা হওয়া। অর্থাৎ শয়তানের মর্জি মাফিক ইবাদত বা অর্চনা করতে পারেনি, সেক্রিফাইস করে শয়তানদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ব্যাস! দেয় প্যাদানি!

 

[গ] কোনকোন আলেম বলেন- “কোন কুফর শিরক ছাড়া, স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মানুষের খিদমাতের জন্য যদি কোন জিন সাহায্য করে। তবে নাকি জায়েজ হবে।” এর জবাব হচ্ছে-

 

১। এসব বিষয়ে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারা ভালোভাবেই জানেন, জিনেরা প্রচণ্ড মিথ্যাবাদী আর ধোকাবাজ হয়। অতএব, আপনি যাকে পূণ্যবান জিন ভাবছেন, হতে পারে সে আসলে একটা শয়তান। আপনাকে কৌশলে ফিতনায় ফেলছে।

 

২। আমাদের চিকিৎসার জন্য কোরআন আছে। সুন্নাহস্মত রুকইয়া আছে। কেন আমরা সুন্নাহ ছেড়ে সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হব?

 

৩। আর আওয়ামুন নাস যেহেতু পেছনের খবর জানে না, তাদেরকে মুসতাগিস মিনাল জিনের কাছে পাঠানো মানে হচ্ছে “নিজ হাতে ফিতনার দরজা খুলে দেয়া।” সুতরাং তাদের জন্য নিরাপদ হচ্ছে এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকা, আর সুন্নাহসম্মত রুকইয়া করা।

 

[ঘ] এবার আমি আপনাদের একটা ঝাটকা দেই! দেখুন এসব কবিরাজদের ব্যাপারে কোরআনে কি আছে – وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُم مِّنَ الْإِنسِ ۖ وَقَالَ أَوْلِيَاؤُهُم مِّنَ الْإِنسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَا أَجَلَنَا الَّذِي أَجَّلْتَ لَنَا ۚ قَالَ النَّارُ مَثْوَاكُمْ خَالِدِينَ فِيهَا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيم. যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষের মাঝে অনেককে তোমাদের অনুগামী করে নিয়েছ। মানুষদের মাঝে তাদের বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, “আমরা পরস্পরে পরস্পরের মাধ্যমে উপকার লাভ করেছি।” আর এখন আপনি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি। তখন তাদের বলা হবে “আগুন হল তোমাদের বাসস্থান। সেখানে তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; আর আল্লাহ যেমন চাইবে..।” নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী। (সুরা আন’আম, আয়াত ১২৮)  

 

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার (রুকইয়াহ) হাদিয়া।

  • ঢাকার মধ্যে রুকইয়ার হাদিয়া প্রতি রোগী প্রথমবার ৫০০০ টাকা, ২য়/তয় বার ৪০০০ টাকা, আর ঢাকার বাহিরে হলে প্রথমবার ১০,০০০ টাকা, ২য়/৩য়  বার  ৮০০০ টাকা ।
  • বি. দ্রঃ খুব বেশি দূরত্ব, অসুস্থতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বড় বেশি কঠিন রোগীর ক্ষেত্রে হাদিয়া আলোচনা সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে।
  • এই ইসলামিক চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে, কোরআন হাদিসের চিকিৎসা সমাজে কায়েম করানো, আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে দীন-ইসলামের খাদেম হিসাবে কবুল করুন, আমীন, সুম্মা আমীন।

 

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

 

 

Islami Dawah Center Cover photo

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টারকে সচল রাখতে সাহায্য করুন!

 

ইসলামী দাওয়াহ সেন্টার ১টি অলাভজনক দাওয়াহ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের ইসলামিক ব্লগটি বর্তমানে ২০,০০০+ মানুষ প্রতিমাসে পড়ে, দিন দিন আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

বর্তমানে মাদরাসা এবং ব্লগ প্রজেক্টের বিভিন্ন খাতে (ওয়েবসাইট হোস্টিং, CDN,কনটেন্ট রাইটিং, প্রুফ রিডিং, ব্লগ পোস্টিং, ডিজাইন এবং মার্কেটিং) মাসে গড়ে ৫০,০০০+ টাকা খরচ হয়, যা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেকারনে, এই বিশাল ধর্মীয় কাজকে সামনে এগিয়ে নিতে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আপনাদের দোয়া এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, এমন কিছু ভাই ও বোন ( ৩১৩ জন ) দরকার, যারা আইডিসিকে নির্দিষ্ট অংকের সাহায্য করবেন, তাহলে এই পথ চলা অনেক সহজ হয়ে যাবে, ইংশাআল্লাহ।

যারা এককালিন, মাসিক অথবা বাৎসরিক সাহায্য করবেন, তারা আইডিসির মুল টিমের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন, ইংশাআল্লাহ।

আইডিসির ঠিকানাঃ খঃ ৬৫/৫, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা -১২১২, মোবাইলঃ +88 01609 820 094, +88 01716 988 953 ( নগদ/বিকাশ পার্সোনাল )

ইমেলঃ info@islamidawahcenter.com, info@idcmadrasah.com, ওয়েব: www.islamidawahcenter.com, www.idcmadrasah.com সার্বিক তত্ত্বাবধানেঃ হাঃ মুফতি মাহবুব ওসমানী ( এম. এ. ইন ইংলিশ, ফার্স্ট ক্লাস )