Festive Time Of A Believer-মুমিনের উৎসবের সবসময় কখন কখন?

যারা ইসলাম সম্পর্কে কোনরূপ জ্ঞান রাখেন না, তারা অন্য যাদের পরিপূর্ণ ভাবে ইসলাম পালন করতে দেখেন তখন ভেবেই নেন ইসলাম এত নিরানন্দ কেন? কোন গান বাজনা করে আনন্দ ফূর্তি করা যায়না, দুই ঈদ ছাড়া কোন উৎসব নেই, জন্মদিন বিবাহবার্ষিকীও পালন করা যাবেনা, শবে বরাতের কল্যাণে যা হালুয়া রুটি মাংস খাওয়ার প্রচলন চালু ছিলো সেটাও নাকি আলিমরা এখন বিদায়াত বিদায়াত বলছেন,
পর্দা করে ১৪ জন মাহরাম পুরুষের সামনে অতি প্রয়োজন ছাড়া খোশগল্প করা যাবে না। ইশ এত এত নিয়ম? সবই তো নিরামিষ! আসুন দেখি তো আসলেই নিরামিষ নাকি? আমার কাছে মনে হয় আমাদের মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন প্রতিটি মুহূর্ত উৎসব! কিভাবে?
এইযে প্রতিদিন পাঁচবার আযানের মাধ্যমে নামাযের জন্য ডাকা হচ্ছে। আসলে কে ডাকছে ভেবে দেখেছেন কি? আযান দিচ্ছেন মুয়াজ্জিন ঠিকই কিন্তু যেসব বাক্য বলে ডাকছেন এগুলো তো তার লেখা কোন বানী নয়। এই বানীগুলো আল্লাহর। স্বয়ং, আল্লাহ সুবহানা তায়ালা আযানের লেখক। সুবহান আল্লাহ! আল্লাহ দিনে পাঁচ পাঁচ বার ডাকছেন এটা কত বড় আনন্দের বিষয়!!
এমন না যে যখন ইচ্ছা হলো আমি আল্লাহর কাছে নামাযে বসবো! আল্লাহ নিজে কল দিচ্ছেন আমাকে, আপনাকে! আল্লাহর ডাকে সারা দেয়া রীতিমতো আনন্দ উৎসবের মত। আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য যেমন তেমন ভাবে যাওয়া যাবে না। ওযু করে পাক পবিত্র হয়ে, পরিষ্কার পরিচ্চন্ন হয়ে সুন্দর পোষাক পড়ে উপস্থিত হতে হবে। এই যে সাজ সাজ রব! আমরা বাহিরে গেলে কি পরিপাটি হয়ে যাই না?
তাহলে? এটা তো আনন্দের বিষয়। ডাক আসা মাত্রই সব ছেড়ে আনন্দ নিয়ে পরিপাটি হয়ে আল্লাহর সামনে চলে যেতে হবে। বাড়ির এক কোণে যদি নামাযের একটা স্থান রাখা হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সেই যায়গাতে নামায আদায় করতেই তো ইচ্ছা করবে। এক দিনের মধ্যে পাঁচ বার উৎসব!!! ভেবে দেখেছেন কি?
এই যে সামনে রমাদান মাস আসছে। রমাদানের প্রস্তুতি কজনা নিচ্ছি? রোজার মাস বলতেই খাওয়া দাওয়া, ফ্রোজেন খাবার বানানোর ধুম। কিন্তু, ইবাদত কখন কোন সময় কি কি করবো তার লিস্ট করছি কি? একটা খাতায় যদি ওই মাসের নিজেদের সুবিধামত রুটিন করা যায় অনেক ভালো হয়।
কুরআন তেলাওয়াত, কুরআনের অর্থ বোঝা, নতুন আরবী শব্দ শেখা, তারাবীর নামায সবকিছু জন্য প্রস্তুতি নেয়া খুব দরকার। রমাদান আসছে তাই নিজেরা সহ বাড়ির বাচ্চাদের প্রস্তুতি নিতে শেখানো। বাড়িঘর পরিষ্কার করে, ইবাদতের জন্য তৈরি করা। বাচ্চাদের জন্য উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি করে রমাদানকে স্বাগত জানানোর ধাপ আপনিই দিতে পারেন।
বাচ্চাদের হাতে রঙ্গিন কাগজ, পেন্সিল তুলে দিন। রমাদানকে ঘিরে তাদের মনে যা ভাবনা তা পোস্টারে ফুঁটিয়ে তুলতে বলুন। সেটা রমাদান মাস জুড়ে ঘরের দেয়ালে টানিয়ে রাখুন। পরিবারের সবাই আলাদা আলাদা একটা খাতা বানিয়ে তাতে যার যা দরকার সেটা লিখে রাখুন।
রোজাদার ব্যক্তির দু’আ যেহেতু আল্লাহ কবুল করেন। ঠিক ইফতারের আগ দিয়ে পুরো খাতা খুলে বাচ্চারা যেন আল্লাহর কাছে চেয়ে নেয় তাদের প্রয়োজন। এভাবে উৎসব করা যায়।
আল্লাহ সুবহানা তায়ালা গোপন ইবাদতকে সবচেয়ে বেশী পছন্দ করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায তো প্রকাশ্য ইবাদত। পড়লে সবাই দেখবে। কিন্তু, এমন কোন আমল ইবাদত যা আপনি কাউকে বলেন নি, শুধু আল্লাহ জানেন আর আপনি। চিন্তা করে দেখেছেন আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ক কত চমৎকার হবে?
পরিবারের সব সদস্যকে নাসীহা দিন যে প্রতিদিন এমন কোন আমল করতে যা তারা কখনো কাউকে বলবে না। বিচারের দিন যেন আল্লাহ তা সবার সামনে আনেন, এর আগে নয়। গোপন আমল হতে পারে গভীর রাতে সবার অগোচরে তাহাজ্জুদ আদায়, হতে পারে নফল/সুন্নাত সিয়াম রাখা যা কেউই জানবেনা।
কত বাহানায় সেদিন খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখা বা সবার চোখের আড়ালে আপনি যে সেদিন খান নি সেটা না জানা। এটা যে কি মজার ব্যাপার যারা করে তারাই জানে। হতে পারে একজন রিকশাওয়ালাকে সালাম দেয়া, হতে পারে যাকে একদম সহ্যই করতে পারেন না তার জন্য সিজদায় গিয়ে আল্লাহর কাছে দু’আ করা, হতে পারে কোন অভাবীকে এক বেলা খুব সুস্বাদু কোন খাবার খাওয়ানো,
হতে পারে কোন মাদ্রসা ছাত্র বা কুরআন পড়বে এরকম কাউকে একটা কুরআন উপহার দেয়া, হতে পারে পাখি সহ নানা প্রানীকে খেতে দেয়া, হতে পারে একদিন কোন মিথ্যা কথা না বলে থাকা, একদিন সম্পূর্ণ গীবতমুক্ত থাকা ইত্যাদি। এরকম আরো বহু কিছুই হতে পারে।
আপনি আপনার মত এরকম প্রতিদিন কিছু না কিছু গোপন আমলের উৎসব গড়ে তুলুন। কোন গান বাজনা আপনাকে এই মানসিক প্রশান্তি কখনোই দিতে পারবে না। শুধুমাত্র আপনার এসব কর্মকান্ড জানবে আপনার রব। ভেবে দেখুন, মানুষ বেস্ট ফ্রেন্ড ছাড়া কাউকে তার গোপন কোন কিছু বলে না। তাহলে, আল্লাহকে বানিয়ে নিন আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড।
বাইরে থেকে এলে হাসিমুখে সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করা। আমরা সালাম শুধু বাইরে কারো বাসায় বেড়াতে গেলেই দেই। অথচ, নিজ বাসায় ঢুকার সময় যে ব্যক্তি দরজা খুলুক, হোক সে আমাদের বাবা,মা অথবা স্বামী, স্ত্রী তাকে সালাম দিয়েই ঘরে ঢোকা সুন্নাহ।
বরং, কে কার আগে সালাম দিবে এটাই প্রতিযোগীতা হওয়া উচিত। এই যে, সালামের ব্যাপারটা। রীতিমতো উৎসব করে কে কার আগে উত্তম ভাবে সালাম দিতে পারে এটাই তো হবে প্রতিযোগিতা। বাচ্চাদেরও সালাম দিন। আমাদের নবী করিম (সা.) বাচ্চাদের সালাম দিতেন।
নবিজী (সা.) যে খাবারগুলো পছন্দ করতেন গুগল/বই ঘেটে সপ্তাহে একদিন চেষ্টা করুন সেই খাবারগুলো রান্না করতে। আনন্দ নিয়ে রান্না করুন, বাসার সবাই মিলে খান। প্রতিবেশীকে দিন। সুন্নাহ খাবারগুলো রান্না হোক উৎসবের মতো।
প্রতিদিন একটি করে নতুন ছোট্ট মাসনুন দু’আ গুলো অর্থ সহ শিখতে থাকুন।
বাড়ির সবাইকে ইসলামিক বই কিনে দিন। পড়ার পর সেই বই থেকে কুইজ টাইপের প্রশ্ন উত্তর প্রতিযোগীতা রাখুন। ছোট ছোট উপহার রাখুন প্রত্যেক সঠিক উত্তর দাতার জন্য।
প্রতিদিন সময়মত সবাই একসাথে নামায আদায় করতে না পারলেও সপ্তাহে একদিন চেষ্টা করুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে জামায়া’তে নামায আদায় করতে। এটা যে কি আনন্দের তা বলে বোঝানো যাবে না। যে ইমাম হবে তার জন্য আনন্দের, বাড়ির ছেলে মেয়ে, স্ত্রী সবাই যার যার কাতারে দাঁড়িয়ে সলাত পড়বে। উফফ, কঠিন আনন্দ উৎসবের দৃশ্য।
কোন প্রাকৃতিক যায়গায় পরিবারকে নিয়ে যান। প্রকৃতির সাথে আল্লাহর সম্পর্ক খুঁজে পাবেন ভালো করে। মুগ্ধ হবেন আল্লাহর সৃষ্টি দেখে। চাঁদ উঠলে মাঝে মাঝে সপরিবারে ছাদে উঠে যান। ছাদে বসে আল্লাহর অপূর্ব নিদর্শন প্রাণভরে উপভোগ করুন। আল্লাহ বলেছেন ভ্রমন করে তার নিদর্শন দেখতে।
“তোমাদের পূর্বেও অনেক সম্প্রদায় গত হয়েছে, তোমরা দুনিয়া ভ্রমন কর, তারপর দেখ, যারা মিথ্যা ব’লে অমান্য করেছিল তাদের পরিণাম কী দাঁড়িয়েছে।”
(সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৭)
হাজ্জের জন্য অল্প অল্প করে টাকা জমাতে থাকুন। একটু একটু করে মনে আশা নিয়ে। একদিন আল্লাহ বায়তুল্লাহ তে নিয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ। বাসার সবাইকেই তাদের পকেট মানি থেকে যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী ফেলতে বলুন। বিন্দু বিন্দু করেই এক সময় তা গভীর হবে। এটাও অনেক বড় উৎসব।
সফরে বের হলে বাড়ির মহিলারা খুঁজে খুঁজে হয়রান হোন মহিলাদের নামাযের স্থানের জন্য। আমাদের দেশে এখনো বাইরে বের হলে মহিলাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে নামাযের স্থান নেই। তাই, এরকম পরিস্থিতিতে নামাযের যায়গা না পেলে যখন মন অস্থির হয়ে যাবে, মানসিক অশান্তি শুরু হয়ে যাবে।
ভাবতে থাকুন, হাজেরা (আ.) এর কথা। সন্তানের পানির তৃষ্ণায় যিনি অস্থির হয়ে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ছুটাছুটি করেছিলেন। আর যখন নামাযের স্থান পেয়ে যাবেন। নিশ্চিন্ত মনে নামায পড়ে মানসিক প্রশান্তি পাবেন তখন ভেবে নিবেন আল্লাহর পরম অনুগ্রহে আপনি যায়গা পেলেন৷
ঠিক যেমন, অস্থিরতার পর হাজেরা (আ.) এর জন্য যমযম কূপ নির্মিত হলো। তাই, হঠাত সফরে গিয়ে এরকম বাইরে মহিলাদের স্থানে নামায আদায় করা সেই মহিলার জন্য বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে। এটা তার জন্য উৎসব।
মাঝে মাঝে বিভিন্ন মাদ্রাসা/এতিমখানার বাচ্চাদের/বাসার কাজের মানুষটার পুরো পরিবারের জন্য নিজের হাতে ভালো রান্না করে খাবার পাঠান। মানসিক প্রশান্তি পাবেন ইন শা আল্লাহ। যা দিবেন তার থেকে দ্বিগুন আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করবেন ইন শা আল্লাহ।
ইসলাম হলো সেই দরজার নাম যা দেখলে মনে হয় দরজাটা দেখতে এমন মলিন। কিন্তু এ দরজা যারা খুলবে তারাই দেখতে পাবে দরজার পেছনে কি অদ্ভুত সুন্দর নি’আমাত! যা আগে কখনো আবিষ্কার করাই হয়নি! “এটা এক উপদেশ, কাজেই যার ইচ্ছে সে তার প্রতিপালকের পথ ধরুক।”

আরও পড়ুন…

Duas Of The Quran-কুরআনের সব দু’আ

আলহামদুলিল্লাহ! কুরআন শরীফের প্রায় সমস্ত দোয়াগুলি এক জায়গায় অর্থ সহ লিপিবদ্ধ করে দেয়া হলো। এ দোয়াগুলি নিজে মুখস্থ করুন এবং অপরকে পড়ার ও মুখস্থ করার সুযোগ করে দিন।
✅ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، وَتُبْ عَلَيْنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ، البقرة ١٢٧
“হে আমাদের প্রভূ! তুমি আমাদের থেকে (সব দোয়া) কবুল করো। নিশ্চয়ই তুমি সবকিছু শুনতে পাও ও সব কিছু জানো। আর তুমি আমাদের তাওবাহ্ কবুল করো। অবশ্যই তুমি একমাত্র তাওবাহ্ কবুলকারী ও দয়াময়”।
✅ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, البقرة ٢٠
“হে আমাদের প্রভু! তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদেরকে কল্যাণ দান করো। আর দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে বাঁচাও”।
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ ،البقرة ٢٥
“হে আমাদের রব! আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দাও, আমাদের পা অটল রাখ এবং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো”।
✅ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ , البقرة ٢٨٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! যদি আমাদের ভুল ত্রুটি হয়, তবে তুমি আমাদের অপরাধী করো না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর যেমন গুরুভার অর্পন করেছিলে, আমাদের ওপর তেমন গুরুদায়িত্ব অর্পণ করো না। যে ভার সহ্য করার ক্ষমতা আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর আরোপ করো না। আমাদেরকে ক্ষমা করো, আমাদেরকে দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। তাই কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে (জয়যুক্ত করার জন্য) সাহায্য করো।
✅ رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ, ال عمران ٨
“হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর বাঁকা করে দিও না। এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো। তুমিই সব কিছুর দাতা।”
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ, ال عمران ٩
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেন না।”
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ، آل عمران ١٦
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা অবশ্যই ঈমান এনেছি। অতএব, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করে দাও। আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে পরিত্রাণ দাও”।
✅ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ, آل عمران ٣٨
“হে প্রভু! আমাকে তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সকল দোয়া শুনতে পাও”।
✅ رَبَّنَا آمَنَّا بِمَا أَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُولَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِينَ ، ال عمران ٥٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতরণ করেছ তার ওপর আমরা ঈমান এনেছি এবং রসূলের অনুসরণ করেছি। তাই আমাদের নাম শহীদদের নামের অন্তর্ভুক্ত করে দাও”।
✅ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ, آل عمران:١٤٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপ ক্ষমা করো। কাজে কর্মে আমাদের বাড়াবাড়ি মাফ করে দাও। আমাদের পদক্ষেপগুলো সুদৃঢ় করে দাও এবং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করো।”
✅رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ, آل عمران :١٩١
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব বৃথা সৃষ্টি করনি। তুমি অর্থহীন কাজ থেকে পবিত্র। তাই দোজখের আগুন থেকে তুমি আমাদেরকে রক্ষা করো।”
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ, آل عمران : ١٩٢
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যদি কাউকে অন্যায় কাজের জন্য দোযখের আগুনে নিক্ষেপ কর, তাহলে নিশ্চয়ই সে লাঞ্ছিত হবে। আর সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
✅ رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا ۚ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ, آل عمران : ١٩٣
“হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যিনি বলছিলেন, তোমরা নিজ প্রতিপালকের ওপর ঈমান আন। তাতেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধগুলো ক্ষমা করো এবং আমাদেরকে পূণ্যবানদের সাথে মৃত্যু দান করো।”
✅ رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَىٰ رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۗ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ, آل عمران :١٩٤
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছ, সে অনুযায়ী আমাদের ওপর রহম কর। আর কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্ছিত করোনা। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকারের ব্যতিক্রম কিছু করোনা।”
✅ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ سلطانا نَصِيرًا, النساء، ٧٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! জালেমের এই জনপদ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার কর। তোমার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার কাছ থেকে আমাদের জন্য কোন সাহায্যকারী পাঠাও।”
✅ رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ, الاعراف: ٢٣
“(তাঁরা দু’জন বললেন) হে আমাদের প্রভু! আমরা আমাদের নিজেদের উপর অত্যাচার করেছি। যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর ও আমাদের উপর দয়া না কর, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”।
✅ رَبَّنَا افْتَحْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِنَا بِالْحَقِّ وَأَنْتَ خَيْرُ الْفَاتِحِينَ, الاعراف،٨٩
“হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও। আর তুমিই সবচেয়ে উত্তম ফায়সালাকারী”।
✅ رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ،البقرة ٢٥٠
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের মনে ধৈর্য সৃষ্টি করে দাও এবং আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখ। আর আমাদেরকে সাহায্য কর কাফের জাতির বিরুদ্ধে”।
✅ رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۖ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ، الممتحنة ٥
“হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদেরকে কাফেরদের জন্য পরীক্ষার পাত্র করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা কর। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”।
✅ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ ۖ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِينَ، هود ٤٧
“হে আমার পালনকর্তা! আমার যা জানা নেই এমন কোন দরখাস্ত করা হতে আমি তোমার কাছেই আশ্রয় প্রার্থনা করছি। তুমি যদি আমাকে ক্ষমা না কর, দয়া না কর, তাহলে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হবো”।
✅ رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِن تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ ۚ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ۖ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ (يوسف :١٠١)
“হে আমার পালনকর্তা! তুমি আমাকে রাষ্ট্রক্ষমতাও দান করেছ এবং আমাকে বিভিন্ন তাৎপর্যসহ ব্যাখ্যা করার বিদ্যা শিখিয়ে দিয়েছ। হে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের স্রষ্টা! তুমিইই আমার ইহকাল ও পরকালের অভিভাবক। আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যুদান কর এবং আমাকে স্বজনদের সাথে মিলিত কর।
✅ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ ۗ وَمَا يَخْفَىٰ عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ، ابراهيم ٣٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যা গোপন করি এবং যা প্রকাশ করি তা নিশ্চয় তুমি জানো। আর পৃথিবী ও আকাশের কোন কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”।
✅ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ، رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ. ابراهيم ٤١-٤٠
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী কর এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি কবুল কর আমাদের দোয়া। হে আমার প্রতিপালক! হিসাব গ্রহণের দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং বিশ্বাসীগণকে ক্ষমা কর।”
✅ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا, اسراء ٨٠
“হে আমার রব? আমাকে প্রবেশ করাও উত্তমভাবে এবং বের কর উত্তমভাবে। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাকে সাহায্যকারী শক্তি দান কর”।
✅ رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا, الكهف ١٠
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজের তরফ থেকে আমাদেরকে করুণা দান কর এবং আমাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা কর”।
✅ سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَٰذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ (زخرف: ١٣-١٤)
“(আমি ঘোষণা করছি) পবিত্র তিনি, যিনি এদেরকে (যানবাহন) আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন এবং আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব”।
✅ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ، وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ، المؤمنون: ٩٨-٩٧
“হে আমার রব! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই। আর হে আমার রব! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে তোমার কাছে সাহায্য চাই”।
✅ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ، المؤمنون ١٠٩
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা ও দয়া কর। আর তুমিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু”।
✅ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا، الفرقان ٦٥
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত কর। জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক”।
✅ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا, الفرقان : ٧٤
“হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর”।
✅ رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ، وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ، وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ، وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ، إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ. الشعرا ء: ٨٩ -٨٣
“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর, আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর। আর আমাকে নেয়ামতসম্পন্ন উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না, যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না। কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে সে লাঞ্ছিত হবেনা।
✅ رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ ، الشعراء
“হে আমার রব! আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে এদের কুকর্ম থেকে মুক্তি দাও৷”
✅ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ ، النمل: ١٩
“হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য এবং যাতে আমি তোমার পছন্দমত সৎকাজ করতে পারি। আর তুমি নিজ করুণায় আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ দাসদের শ্রেণীভুক্ত করে নাও”।
✅ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي،القصص ١٦
“ওগো আমার প্রভু! আমি আমার উপর অত্যাচার করেছি। তাই আমাকে ক্ষমা করে দাও”।
✅ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ ،العنكبوت ٣٠
“হে আমার প্রতিপালক! ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠির হাত থেকে বাঁচতে আমাকে সাহায্য কর”।
✅ رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَيْءٍ رَحْمَةً وَعِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِينَ تَابُوا وَاتَّبَعُوا سَبِيلَكَ وَقِهِمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ – غافر / المؤمن ٧
“হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে, তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর”।
✅ رَبَّنَا وَأَدْخِلْهُمْ جَنَّاتِ عَدْنٍ الَّتِي وَعَدْتَهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الحكيم. غافر: ٨
“হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাদেরকে স্থায়ী জান্নাতে প্রবেশশধিকার দান কর; যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাদেরকে দিয়েছ (এবং তাদের) পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান সন্ততিদের মধ্যে (যারা) সৎকাজ করেছে তাদেরকেও (জান্নাত প্রবেশের অধিকার দাও)। নিশ্চয়ই তুমি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়”।
(নোটঃএখানে সূরাগুলো ক্রমান্বয়ে দেয়া আছে,সূরা বাকারা থেকে শুরু হয়েছে)

আইডিসির সাথে যোগ দিয়ে উভয় জাহানের জন্য ভালো কিছু করুন!

 

আইডিসি এবং আইডিসি ফাউন্ডেশনের ব্যপারে  জানতে  লিংক০১ ও লিংক০২ ভিজিট করুন।

আইডিসি  মাদরাসার ব্যপারে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। 

আপনি আইডিসি  মাদরাসার একজন স্থায়ী সদস্য /পার্টনার হতে চাইলে এই লিংক দেখুন.

আইডিসি এতীমখানা ও গোরাবা ফান্ডে দান করে  দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা অর্জন করুন।

কুরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতেআইডিসি ‘র সাথে যোগাযোগ করুন।

ইসলামিক বিষয়ে জানতে এবং জানাতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।